নতুন সুদহার বাস্তবায়নে আজ এবিবি-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠক

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোটর্ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে ব্যাংক কাজ শুরু করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নিবার্হীরা। যার অংশ হিসেবে আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। বিকাল তিনটায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত গত ২০ জুন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকাসর্ (বিএবি) সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল থেকে তিন মাস মেয়াদি আমানতের সবোর্চ্চ সুদ হার হবে ৬ শতাংশ আর ঋণের সুদ হার হবে ৯ শতাংশ। তবে অনেক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচাল ও প্রধান নিবার্হীরা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন। যদিও মালিকরা বলছেন প্রয়োজনে মুনাফা না হলেও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এবিবি সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে তারা সুদহারের নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চাইবে। বিশেষ করে বতর্মানে বেসরকারি ব্যাংকগুলো তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। যার কারণে নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে তাদের। এই কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি আমানতের সাপোটর্ চাইবেন নিবার্হীরা। যদিও ইতোমধ্যে সরকারি তহবিলের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এখন এমডিরা এই আমানতের সবোর্চ্চ সুদহার যাতে ৫-৬ শতাংশের বেশি না হয় সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে তারল্য রয়েছে। তার একটি অংশও বেসরকারি ব্যাংকে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, এবিবি প্রতিনিধিরা এর আগে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসেছিল। তারা গভনের্রর সঙ্গে সে বিষয়ে বৈঠকেও করেছে। ইতোমধ্যে তাদের দাবি নিয়ে অথর্মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে সে বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়া হবে। এ ছাড়া সুদহার কমার কারণে আগ্রাসী ঋণ হতে পারে। উদ্যোক্তারা নতুন করে ঋণ নিতে আগ্রহী হবেন। সে ক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাব সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যাতে ঋণ দেয়া হয় সে বিষয়ে নিবার্হীদের সতকর্ করা হবে বৈঠকে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায়ে আরও মনোযোগী হওয়ার নিদের্শনা থাকবে। জানতে চাইলে এবিবির চেয়ারম্যান ও বেসরকারি ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পষের্দর সিদ্ধাস্ত বাস্তবায়ন করতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংককে এর আগে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম। আগামীকালকের বৈঠকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিক-নিদের্শনা পাব বলে আশা করছি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফমর্ উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী বলেন, নতুন সুদহার বাস্তবায়নে ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা পরিপালন করতে হবে। ব্যাংককে কোনোভাবে ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। স্বাভাবিক ঋণপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে। এ ছাড়া ঋণের মান নিশ্চিত করতে হবে। ঋণ আমানত হার যাতে লঙ্ঘন না হয় ও আগ্রাসী ব্যাংকিং করে ব্যাংকে যাতে নতুন সঙ্কট তৈরি করা না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।