পর্যটন নীতিমালা শিথিল করছে থাইল্যান্ড

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নেয়া পর্যটকদের কোয়ারেন্টিনে থাকা ছাড়াই থাইল্যান্ডের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ফুকেট ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এ সিদ্ধান্তের কথা জানার পর বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশের মানুষ ফুকেট ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সূত্র : ব্যাংকক পোস্ট থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, আগামী জুলাই থেকে প্রথম প্রদেশ হিসেবে পর্যটকদের জন্য খুলবে ফুকেটের দরজা। আপাতত টিকা নিয়েছেন এমন প্রমাণ দেখিয়েই পর্যটকদের দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে। ফুকেট টু্যরিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, থাই সরকার ফুকেটে ভ্রমণের অনুমতি দিলেও পর্যটকদের নিজের দেশ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখন দেখার বিষয়, দেশগুলো এ অনুমতি দেয় কিনা। সাধারণত চীন, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পর্যটকরা ফুকেটে বেশি ভ্রমণ করে থাকেন। যদি জুলাই থেকে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়, তাহলে সংস্থাটি আশা করছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখ বিদেশি পর্যটক সেখানে ঘুরতে যাবেন। আর এর মাধ্যমে প্রদেশটির আয় হবে অন্তত ৩ হাজার কোটি বাথ। অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ফুমকিত বলেন, টিকা নিয়েছেন এমন পর্যটকরা ফুকেটে প্রবেশের অনুমতি পেলেও সেখানে প্রবেশের আগে তাদের সব তথ্য কোভিড-১৯ সিচুয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে জমা দিতে হবে। তারা অনুমোদন দিলেই মিলবে এ রিসোর্ট আইল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি। তিনি বলেন, এজন্য যেসব তথ্য জমা দিতে হবে তার মধ্যে রয়েছে, পর্যটকদের ফুকেটে অবস্থান করার সময়ের ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং তাদের টিকার অনুমোদন আছে কিনা। কারণ, পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও তাদের দেখতে হবে। টু্যরিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এ নেতা বলেন, এ সময়ের মধ্যেই প্রদেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিতে হবে। এজন্য ৯ লাখ ২০ হাজার থেকে ৯ লাখ ৩০ হাজার ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে। তিনি মনে করেন, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা ১৪ দিন থেকে কমিয়ে সাতদিন করায় সেখানকার পর্যটন শিল্প পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।