২৫ লাখ টন চিনি রপ্তানি করেছে ভারত

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চলমান ২০২০-২১ বিপণন বর্ষে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) প্রায় আড়াই লাখ টন চিনি রপ্তানি করেছে ভারত। মাত্র তিন মাস আট দিনে এ পরিমাণ চিনি রপ্তানি করেছে দেশটি। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চিনি রপ্তানি করেছে ভারত। অল ইন্ডিয়া সুগার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএসটিএ) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এমনটা জানানো হয়েছে। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া। এআইএসটিএর সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছেন ভারতীয় চিনিকল মালিকরা। ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চলতি বছরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ৬০ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। অক্টোবর-সেপ্টেম্বর সেশনকে ভারতের চিনি বিপণন বর্ষ হিসেবে ধরা হয়। সে হিসাবে ২০২০-২১ বিপণন বর্ষ শেষ হতে এখনো পাঁচ মাস বাকি। অ্যাসোসিয়েশনের মতে, রপ্তানিকারকরা তাদের দেওয়া রপ্তানি প্রতিশ্রম্নতি পূর্ণ করতে যথেষ্ট আন্তরিক। গত জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ লাখ ৯০ হাজার টন চিনি রপ্তানি করে ভারত। এছাড়া আরও ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৫০ টন চিনি রপ্তানির প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিল শেখ বলেন, চলতি বছরের চিনি রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় এখনো সঠিক পথেই এগোচ্ছি আমরা। ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা হচ্ছে ভারতীয় চিনির শীর্ষ তিন ক্রেতা। তবে চলতি বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এআইএসটিএর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে চিনির রপ্তানি ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটিতে মোট ৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৪ টন চিনি রপ্তানি করেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া আফগানিস্তানে ৩ লাখ ৮ হাজার ৩০২ টন এবং শ্রীলংকায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯১ টন চিনি রপ্তানি করেন তারা। রাহিল শেখ বলেন, গত বছরে ভারতীয় চিনির শীর্ষ আমদানিকারক দেশ ছিল ইরান। তবে মুদ্রাবিনিময় হারের কারণে এ বছর ইরানে রপ্তানি কমে গেছে। এর বিপরীতে শীর্ষ আমদানিকারকের তালিকায় উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়া। মূলত ডিসেম্বর-মার্চ ব্রাজিলের চিনি রপ্তানি বন্ধ থাকায় ইন্দোনেশিয়ায় বিশাল রপ্তানি সুযোগ তৈরি হয়েছে ভারতের জন্য। এআইএসটিএ বলছে, চলতি বিপণন বর্ষে ভারতের অভ্যন্তরীণ চিনি রপ্তানির পুনঃপ্রাক্কলন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টনে। যদিও এর আগে দেশটির চিনি উৎপাদন প্রাক্কলন ছিল ২ কোটি ৯৯ লাখ টন।