শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এবং সিএসইর সাবির্ক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে এক শতাংশের বেশি। সা¤প্রতিক সময়ের মধ্যে এটি শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় দরপতন। মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি এদিন কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২২৭টি প্রতিষ্ঠান। আর দাম অপরিবতির্ত রয়েছে ৩৭টির। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজার পযাের্লাচনায় দেখা যায়, এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করে। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটের পর ডিএসইএক্স সূচকটি একবারের জন্যও ঊধ্বর্মুখীর দেখা পায়নি। বরং সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকটির পতন ত্বরান্বিত হয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে লেনদেনেও। ফলে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কাযির্দবসে লেনদেন হয় ৫৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। লেনদেনে এরপর রয়েছে- শাশা ডেনিম, ড্রাগন সোয়েটার, ইফাদ অটোস, সিলভা ফামাির্সউটিক্যাল, অ্যাকটিভ ফাইন, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং বেক্সিমকো। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবির্ক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৩৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে মোট ২২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৭টির। আর অপরিবতির্ত রয়েছে ১৪টির দাম।