পঁুজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশের পঁুজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সূচকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিবার্চন সামনে নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন সাইড লাইনে। যার কারণে টানা পতন। এদিকে সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সব থেকে বড় দরপতন হওয়ার পরের কাযির্দবস মঙ্গলবারে এসে বাজারটিতে প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সবির্নম্ন লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর পাশাপাশি লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। আর ডিএসইতে মূল্যসূচক সামন্য বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। অবশ্য যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে দুই বাজারেই কমেছে তার থেকে বেশি। মূলত লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম পড়তে থাকে। ফলে ডিএসইতে এদিন লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৫৪টি। আর ৫৩টির দাম অপরিবতির্ত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের এমন দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১১ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কাযির্দবসে লেনদেন হয় ৪৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে শুধু লেনদেনই কমেনি। চলতি বছরের ৩১ মের পরে বাজারটিতে সবির্নম্ন লেনদেন হয়েছে। ৩১ মে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৬১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এরপর মঙ্গলবারের আগ পযর্ন্ত ডিএসইতে আর ৩৮০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবির্ক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির। আর দাম অপরিবতির্ত রয়েছে ৩৭টির।