সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
গত সপ্তাহের পঁাচ কাযির্দবসের (২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর) মধ্যে দুই কাযির্দবসে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও তা দরপতনের ধারাকে রুখতে পারেনি। সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে কিছুটা বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি সপ্তাহটিতে কমেছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কাযির্দবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দঁাড়িয়েছে তিন লাখ ৮৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কাযির্দবসে ছিল তিন লাখ ৮৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। অথার্ৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৯৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৫ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২০ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১৯ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৬৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবতির্ত রয়েছে ২৬টির দাম। এদিকে সপ্তাহের প্রতি কাযির্দবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪০৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অথার্ৎ প্রতি কাযির্দবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৬৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৪ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ৬১ কোটি ৩৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, ইনটেক লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, অ্যাডভেন্ট ফামার্, বিবিএস কেবলস, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।