দরপতনের এক কাযির্দবস পরই ঘুরে দঁাড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
জাতীয় নিবার্চনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পঁুজিবাজারে। এছাড়া আইসিবিসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তথ্য পযাের্লাচনায় দেখা যায়, চলতি সপ্তাহে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হওয়ার পর থেকে লেনদেন বাড়তে থাকে।
এদিকে গতকালকের বাজার পযাের্লাচনায় দেখা যায়, মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও দুই বাজারেই লেনদেন হওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪০টির। আর ৬১টির দাম অপরিবতির্ত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে পঁাচ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২১৩ পয়েন্টে দঁাড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কাযির্দবসে লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেফাডর্ ইন্ডাস্ট্রিজের ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- এসকে ট্রিমস, সায়হাম কটন, খুলনা পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, ইফাদ অটোস, সামিট পাওয়ার এবং পেনিনসুলা চিটাগাং।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবির্ক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স চার পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৭টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১১২টির। আর অপরিবতির্ত রয়েছে ৩১টির দাম।
