সপ্তাহজুড়েই উত্থান শেয়ারবাজারে

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সপ্তাহজুড়ে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। তবে সপ্তাহের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার ডিএসইর মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে প্রতিদিনই সূচক বেড়েছে। শেষ দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন হয় ১ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দাম কমেছে ১৭৪টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিডেটের শেয়ার। কোম্পানির ২৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ছিল ১৬০ টাকা ৪০ পয়সা। দ্বিতীয় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৩১ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৫টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৩০টির এবং ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে, করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ৬ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় ব্যাংক খোলা রেখে লেনদেন হলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে, লেনদেনও হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার খোলা থাকা না-থাকা নির্ভর করে ব্যাংকের ওপর। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে যদি ব্যাংক খোলা থাকে, তবে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। পুঁজিবাজারে লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। উলেস্নখ্য, ১৩ জানুয়ারি থেকে চলা বিধিনিষেধের পর নতুন করে শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।