ঈদে বেতন-ভাতা পেয়েছে শতভাগ পোশাক কারখানার শ্রমিক

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে পূর্ববর্তী বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও শ্রমিকদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করায় তাদেরও ধন্যবাদ জানান পোশাক কারখানার উদ্যোক্তাদের এ নেতা

প্রকাশ | ০১ মে ২০২২, ০০:০০

ম অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ঈদ উপলক্ষে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শতভাগ কারখানায় বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। বার্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে পূর্ববর্তী বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও শ্রমিকদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করায় তাদেরও ধন্যবাদ জানান পোশাক কারখানার উদ্যোক্তাদের এ নেতা। তিনি বলেন, শতভাগ কারখানায় উৎসব ভাতা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এপ্রিলের আগাম বেতন দেওয়া হয়েছে। শতভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ফারুক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ উপলক্ষে উদ্যোক্তারা এলাকাভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও দিনে দু'বেলায় ছুটি দিচ্ছেন। গত বুধবার থেকে শ্রমিকরা ছুটিতে যাওয়া শুরু করেছে। শনিবারের মধ্যেই সব শ্রমিক ঢাকা ছাড়বে। তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি দেওয়ার কারণে এবার মহাসড়কগুলোয় অন্যবারের তুলনায় যানবাহনের চাপ কম পড়েছে। সরকার মহাসড়কগুলোয় যানজট কমাতে এবং ঘরমুখো মানুষদের ঈদযাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায়, বিশেষ করে জনস্বার্থ বিঘ্ন না করে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য ফারুক হাসান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানান। ঘরমুখী মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। একই সঙ্গে ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, ট্রেন ও লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করে, সেজন্য নজরদারি জোরদার করার জন্যও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ জানান।