শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪০০ মামলা

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
গত বছরের নভেম্বর পযর্ন্ত ১১ মাসে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এক হাজার ৪০৫টি মামলা করেছে শ্রম ও কমর্সংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদশর্ন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। সংস্থাটির তথ্যমতে, মোট মামলার ৭৪৫টি হয়েছে শিল্প-কারখানার বিরুদ্ধে। বাকি মামলাগুলো হয়েছে দোকান-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। শিল্প-কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকানগুলোয় পরিদশের্নর মাধ্যমে শ্রম আইন অনুসরণ পরিস্থিতি তদারকির নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে পরিদশর্ন করে ডিআইএফই। পরিদশের্ন আইনের বিধি অনুযায়ী, চাকরি ও নিয়োগের শতার্বলী, শিশু-কিশোর শ্রমিক নিয়োগ, প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা, স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি, কল্যাণমূলক ব্যবস্থা, কমর্ঘণ্টা ও ছুটি, মজুরি নিধার্রণ ও পরিশোধ, ট্রেড ইউনিয়ন-শিল্প সম্পকর্ ও বিরোধ নিষ্পত্তি, প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ এবং ভবিষ্য তহবিলসহ শ্রম অধিকার-সংক্রান্ত গুরুত্বপূণর্ বিষয়গুলোর পরিপালন নজরদারি করা হয়। পরিপালন ব্যথর্তার একপযাের্য় মামলা করা হয়। নভেম্বর পযর্ন্ত ২০১৮ সালের ১১ মাসে মোট ৩৯ হাজার ১৪১টি গামের্ন্ট শিল্প, অন্যান্য কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান পরিদশর্ন করেছে ডিআইএফই। এই পরিদশর্ন কমর্সূচির মাধ্যমে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট মামলা হয়েছে এক হাজার ৪০৫টি। আলোচ্য সময় গামের্ন্ট শিল্প-সংশ্লিষ্ট চার হাজার ৮৮৫টি প্রতিষ্ঠানে পরিদশর্ন করা হয়। এসব পরিদশের্ন আইন লঙ্ঘন-সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৫৪টি। অন্যান্য কারখানা পরিদশর্ন হয়েছে ১৫ হাজার ২৮৪টি, মামলা হয়েছে ৬৯১টি। দোকান পরিদশর্ন হয়েছে ১২ হাজার ৫৯৯টি, মামলা হয়েছে ৩৮৪টি। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদশর্ন হয়েছে ছয় হাজার ৩৭৩টি, মামলা হয়েছে ২৫৭টি। জানতে চাইলে ডিআইএফইর মহাপরিদশর্ক মো. সামছুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই আমাদের পরিদশর্করা কল-কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকান পরিদশর্ন করেন এবং সেখানে শ্রম আইনের লঙ্ঘন থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরও মামলা হয়েছে। মামলা করার আগে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে সংশোধনের সুযোগও দেয়া হয়। ডিআইএফই পরিদশর্ন কৌশলপত্র বলছে, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী, শ্রম পরিদশর্করা ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কমর্সংস্থলে প্রবেশ ও পরিদশর্ন, রেকডর্, রেজিস্টার ও দলিলাদি পরীক্ষা করা এবং মালিক ও শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। মহাপরিদশর্ক অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কমর্কতার্ শ্রম আদালতে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। নতুন স্থাপনা নিমাের্ণর অনুমোদন প্রদান, কাজ শুরুর নোটিশ গ্রহণ, নতুন লাইসেন্স ইস্যু করা বা স্থাপনা/যন্ত্রপাতি সম্প্রসারণ, লাইসেন্স নবায়ন ও কমর্স্থলের নিবন্ধনের মতো বিষয়েও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর ক্ষমতাপ্রাপ্ত। শ্রম পরিদশর্কদের ক্ষমতার মধ্যে আরও রয়েছে কমর্পরিবেশের আইনগত উন্নয়নের জন্য নোটিশ প্রদান ও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারি করা।