ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রিতে নরওয়ের বিশ্ব রেকডর্

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কাবর্ন নিগর্মন কমাতে এবং পরিবেশ দূষণরোধে নরওয়েতে চালু হওয়া ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রিতে রেকডর্ সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরে নতুন ইলেক্ট্রিক গাড়ির তিন-চতুথার্ংশ বিক্রি করেই বিশ্ব রেকডর্ গড়েছে নরওয়ে। বৃহস্পতিবার লন্ডনভিত্তিক আন্তজাির্তক সংবাদ সংস্থা রয়টাসের্র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যানবাহনে জ্বালানি ব্যবহার শেষ করে আনতে চায় নরওয়ে। দ্রæত পেট্রল ও ডিজেল ব্যবহার থেকে সরে আসতে দেশটি ব্যাটারিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। যার মধ্যে আছে, বিনা খরচে পাকির্ং সুবিধা ও চাজির্ং পয়েন্ট থেকে চাজর্ দেয়ার সুবিধা। নরওয়ের রোড ফেডারেশনের (এনআরএফ ) তথ্যমতে, ২০১৩ সালে দেশটিতে ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ যা ২০১৭ বৃদ্ধি পেয়ে দঁাড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এটা ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দঁাড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২ শতাংশে। অন্যদিতে ডিজেল ও পেট্রলচালিত গাড়ি বিক্রি কমে যাচ্ছে। এনআরএফের প্রধান উইভিন্ড সলবাগর্ থ্রোসের্ন বলেছেন, নরওয়ের পালাের্মন্ট ২০২৫ সালের মধ্যে সকল গাড়ি কাবর্নমুক্ত দেখতে চায়। গত বছর ১ লাখ ৪৮ হাজার গাড়ি বিক্রি হয়েছে। তবে এখনো আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। আন্তজাির্তক এনাজির্ এজেন্সি (আইইএ ) ইলেক্ট্রিক গাড়ির ওপর করা এক জরিপে দেখিয়েছে, ২০১৭ সালে ৩৯ শতাংশ ইলেক্ট্রিক গাড়ি নিয়ে নরওয়ে প্রথম স্থানে ছিল। ১২ শতাংশ গাড়ি ছিল আইসল্যান্ডে আর ৬ শতাংশ গাড়ি ছিল সুইডেনে। চীনে ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ আর আমেরিকার ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছর নরওয়েতে উন্নত লিফ ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল নিশান। এরপরে ছিল বিএমডব্লিউর ছোট গাড়ি। এরপর আছে সিডান ও টেসলা। রয়টাসের্র প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত বছর ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রি ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ডিজেল চালিত গাড়ি বিক্রি কমেছে ২৮ শতাংশ এবং পেট্রলচালিত গাড়ি বিক্রি কমেছে ১৭ শতাংশ। তবে এরপরও দেশটির ইন্সটিটিউট অব ট্রান্সপোটর্ ইকনোমিকস (আইটিই) ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি কাবর্নমুক্ত গাড়ির লক্ষ্য অজর্ন নিয়ে সন্দিহান। আইটিই এর অথর্নীতিবিদ লেস্সি ফ্রিডস্টোয়েম বলেন, ‘আমি মনে করি না এই লক্ষ্য অজর্ন করা সম্ভব হবে। কারণ অনেক মানুষের গাড়ি পাকির্ং করার মতো ব্যক্তিগত জায়গা নেই। তাছাড়া বাড়িতে যদি তারা চাজির্ং পয়েন্ট না বসাতে না পারে তাহলে তারা ইলেক্ট্রিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবে না। হয়তো মোট গাড়ির বাজারের ৭৫ শতাংশ করা সম্ভব হতে পারে।’ কিন্তু লবি গ্রæপ নরওয়েন ইলেক্ট্রিক ভেহিকল অ্যাসোসিয়েশন (এনইভিএ) আশা প্রকাশ করেছে এই সময়ের মধ্যে শতভাগ ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজার তৈরি সম্ভব। এনইভিএ এর প্রধান খ্রিস্টিনা বিউ মনে করেন চাজির্ং করার ব্যবস্থা সত্যিকার বাধা হলেও কয়েক বছর পর সেটি অন্যাদের মাঝে পেঁৗছে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মোটর কোম্পানি হুন্দায় ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ইলেক্ট্রিক গাড়ির বড় বাজার মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে তাদের বাজার ২০১৮ সালের মধ্যে ১৯ সালেও ধীরগতিতে যাবে। কারণ ব্যবসায়ীক সুরক্ষা নীতি এই বাজার অনিশ্চিয়তা তৈরি করেছে।