পঁুজিবাজারে আসছে ওয়ালটন

রোড শো ১৫ জানুয়ারি

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনকে আন্তজাির্তক পরিমÐলে আরও ব্যাপকভাবে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে আসছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। খুব শিগগিরই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যাচ্ছে ওয়ালটন। উদ্দেশ্য বিশ্বের সয্গে তালমিলিয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিপণ্যের উৎপাদনে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ওয়ালটন তথা দেশের উন্নয়নের অংশীদার করা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি রোড শো’র আয়োজন করছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিস, প্লট নং-১০৮৮, বøক-আই, রোড নং- সাবরিনা সোবহান ৫ম এভিনিউ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ভাটারা, ঢাকা-১২২৯-এ রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আথির্ক অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৪১ পয়সা এবং নিট পরিসম্পদ মূল্য ২০৮ টাকা। পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। শেয়ার বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। উত্তোলিত এ অথর্ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানোন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলান খাতে ব্যয় করা হবে। ট্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে রেজিস্ট্রারার টু দা ইস্যু হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কোম্পানির সেক্রেটারি মো. ইয়াকুব আলী এফসিএ বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সফল দৃষ্টান্ত। গ্রাহকপ্রিয়তায় ওয়ালটন দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট রেটিংয়ের সবোর্চ্চ মানদÐ ট্রিপল এ (‘অঅঅ’) রেটেড কোম্পানি। আগ্রহী ও উপযুক্ত বিনিয়োগকারীদের রোড শো’তে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কমর্সংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সঞ্চয়, খেলাধুলার প্রসার ও বিকাশ এবং সবুজ প্রযুক্তি (গ্রিন টেকনোলজি) ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষাসহ জিডিপি বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিএফও আবুল বাসার হাওলাদার বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পণ্যের পূণার্ঙ্গ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এটি একটি বিশ্বস্ত ও মযার্দাপূণর্ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বপরিমÐলে ২০২১ সালের মধ্যে ওয়ালটন গেøাবাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড হতে ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। এ লক্ষ্যে ওয়ালটন আয়োজন করেছে আন্তজাির্তক সম্মেলন। খুব শিগগিরই বিশ্ববাজার দখলে বিভিন্ন দেশের জলবায়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তজাির্তক মানের পণ্য তৈরি করতে যাচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে ওয়ালটন অংশ নিচ্ছে বিশ্বের শীষর্স্থানীয় সব প্রতিযোগিতা এবং শীষর্ বাণিজ্য মেলাগুলোতে। ওয়ালটনের এই অগ্রগতিতে শামিল হবে সাধারণ জনগণ; এ উদ্দেশ্যেই পুঁজিবাজারে আসা।