এক বছরে জাহিন টেক্সের স্টক বেড়েছে ২৪ কোটি টাকা

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
গেল হিসাব বছরে বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের স্টক বা মজুদ পণ্য এর আগের বছরের তুলনায় ২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা বেড়েছে। আর এ স্টক বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করে নিরীক্ষক মাফেল হক অ্যান্ড কোম্পানি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের আথির্ক প্রতিবেদনে এমফেসিস অব ম্যাটার প্রদান করেছেন। এর জবাবে কোম্পানি কতৃর্পক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্যের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্টকের পরিমাণ বেড়ে গেছে। জাহিন টেক্সের ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের আথির্ক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির স্টকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ১৪৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে গেল বছরে কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ইয়ানর্ মজুদ রয়েছে ৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার, যা এর আগের বছরে ছিল ৩৩ কোটি ১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রস্তুত পণ্যের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা আগে ছিল ৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। স্টক বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটির কমর্কতার্রা বলছেন, চলতি ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানি কতৃর্পক্ষ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই সক্ষমতা বাড়ার কারণে আগের বছরের তুলনায় গেল বছরে স্টকের পরিমাণ বেড়েছে। তাছাড়া সোয়েটারের অডার্র মৌসুমভিত্তিক হওয়ার কারণে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন নিশ্চিতে পযার্প্ত স্টক মজুদ রাখতে হয়। প্রস্তুত পণ্যের পরিমাণ বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে পযার্প্ত ক্রয়াদেশ না আসার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় স্টক বেড়েছে। সবের্শষ সমাপ্ত ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে জাহিন টেক্সের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ১২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর পরবতীর্ মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে জাহিন টেক্স। উদ্যোক্তা পরিচালকরা এ লভ্যাংশ পাবেন না। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২৪ টাকা ৯১ পয়সা।