ওয়ালটনের আইপিও রোড শো

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমকালো রোডশোতে অংশ নেন দেশের শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ এবং বিনিয়োগকারীরা। রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত রোড শোতে বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আথির্ক অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
পুঁজিবাজারে আসছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওকে সামনে রেখে রোড শো করল ওয়ালটন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমকালো রোডশোতে অংশ নেন দেশের শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ এবং বিনিয়োগকারীরা। রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত রোড শোতে বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আথির্ক অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম আশরাফুল আলম, পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, ইন্ডিপেডেন্ট ডিরেক্টর এম ফরহাদ হোসেইন এফসিএ, ওয়ালটনের আন্তজাির্তক বিজনেস ইউনিট (আইবিউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়াডর্ কিম, ‘ট্রিপল এ’ ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাজা আরিফ এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ ড. মোহম্মদ তাবারক হোসেইন ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ৫৯ পয়সা এবং নিট পরিসম্পদ মূল্য ২০৮ টাকা। পুঞ্জিভ‚ত মুনাফা ২,৭৯৮.১৩ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ১৭.২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি, পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য ওয়ালটনের। উত্তোলিত এ অথর্ থেকে কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়নে ৬২.৫ কোটি টাকা, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধে ৩৩ কোটি টাকা এবং আইপিও খরচ সংকুলানে ৪.৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। স্বাগত বক্তব্যে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ওয়ালটনের এই আকাশচুম্বী সফলতার অংশীদার দেশের প্রতিটি মানুষ। তার তাই জনসাধারণকে ওয়ালটন তথা দেশের উন্নয়নের অংশীদার করতেই শেয়ারবাজারে আসা। ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ফ্রিজ, এসি, টেলিভিশন, কম্প্রেসরের মতো উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি হবে, এটা যেন ছিল রূপকথার আষাঢ়ে গল্পের মতো। কিন্তু খুব অল্প সময়ে ওয়ালটন সেটা করে দেখিয়েছে। এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টাগের্ট নেয়া হয়েছে। ওয়ালটনের লক্ষ্য এখন বিশ্বের অন্যতম গেøাবাল ব্র্যান্ড হওয়া।