বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক সংকট, পাকিস্তান কোন পথে?

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা থেকে নিজেদের বিরত রাখছে। অথচ এই চুক্তি সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে পারত। অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক সূত্র সোমবার ডনকে জানিয়েছে যে উভয় পক্ষ এখনো সাতটি শর্ত নিয়ে আলোচনা করছে। আইএমএফ চায় পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার আগে সরকার তাদের সব শর্ত মেনে নিক। এর মধ্যে রয়েছে- বৈদু্যতিক ভর্তুকি প্রত্যাহার, গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা, ডলারের গতি অব্যাহত রাখা এবং এলসি বস্নক না করা। সরকার ভয় পাচ্ছে এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন করলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে পারে। যার জেরে নির্বাচনের মুখে সরকার জনপ্রিয়তা হারাতে পারে। পাকিস্তানের বিদু্যৎ নিয়ন্ত্রক ইতোমধ্যেই সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন লিমিটেড (এসএনজিপিএল) এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানিকে (এসএসজিসি) মন্ত্রিসভা অনুমোদন সাপেক্ষে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। ইসলামাবাদ একটি ঋণ-ব্যবস্থার নবম পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করছে যা পূর্ববর্তী সরকার আইএমএফের সঙ্গে স্বাক্ষর করেছিল। এই পর্যালোচনার ফলে পাকিস্তানে তহবিলের পরবর্তী অংশ ছাড় পাবে যা সেপ্টেম্বর থেকে অমীমাংসিত ছিল।

২০২২-এর আগস্টে আইএমএফ পাকিস্তানের বেলআউট প্রোগ্রামের সপ্তম এবং অষ্টম পর্যালোচনা অনুমোদন করেছিল, ২০১৯ সালে তারা ১.১ বিলিয়নেরও বেশি নগদ ছাড়ের অনুমতি দেয়। আইএমএফ কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তবে দেশটিকে প্রথমে কিছু মৌলিক শর্ত পূরণ করতে হবে। আলোচনা সম্পর্কে সচেতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন- তারা মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চাইছে যাতে তারা তাদের দলকে ইসলামাবাদে পাঠাতে পারে কিন্তু অর্থমন্ত্রী তা করতে নারাজ। কর্মকর্তা বলেন যে আইএমএফ বিদু্যতের দাম এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার তা করতে রাজি নন। তাই ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে অনেক দেরি হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে খুব বেশি কিছু আশা করেন না। কেন জিজ্ঞাসা করা হলে কর্মকর্তা বলেন, 'দার সাহেব বিনিময় হারকে বাজারের স্তরে নিয়ে যেতে দেবেন না। আমাদের পাশে আইএমএফ না থাকলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে না।'

ইসলামাবাদের অন্য একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তান যদি আইএমএফের সঙ্গে আলোচনার জন্য আরও অপেক্ষা করে, তবে বিপর্যয় নেমে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে