পাওয়ার গ্রিডের আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদু্যৎ খাতে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির স্থায়ী সম্পদে গরমিল খুঁজে পেয়েছে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা না মানার অভিযোগ উঠেছে। পাওয়ার গ্রিডের ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবে ১৫ হাজার ৩৪২ কোটি ৩৯ টাকার স্থায়ী সম্পদ আছে বলে উলেস্নখ করেছে পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ। তবে কোম্পানিটির এই সম্পত্তির রেজিস্টারসহ প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। এছাড়া স্বশরীরে এসব সম্পত্তির অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়নি। এই বিশাল পরিমাণ স্থায়ী সম্পদ থাকলেও পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ ইমপেয়ারমেন্ট টেস্ট করে না। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৩৬ লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক-ইন-প্রগ্রেস (ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রক্রিয়াধীন) হিসেবে ২১ হাজার ৭৬৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হয়ে গেছে এমন ১০টি প্রজেক্টের ৫ হাজার ১১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অন্তর্ভুক্ত আছে। যেগুলোকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রোপার্টি, পস্ন্যান্ট অ্যান্ড ইকু্যপমেন্টে (পিপিই) স্থানান্তর না করে ওয়ার্ক-ইন-প্রগ্রেস বেশি ও পিপিই কম দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতীত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ২৫ শতাংশ।