অনাবাসী সিআইপি তিনগুণ হচ্ছে

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কমর্সংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের জন্য অনাবাসী বাংলাদেশি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তির (সিআইপি) সংখ্যা বাড়ানোর সিধান্ত নিয়েছে। অনাবাসী বাংলাদেশি যারা রেমিট্যান্সে পাঠানোর মাধ্যমে দেশের অথৈর্নতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন মন্ত্রণালয় তাদের সিআইপি মযার্দা দিয়ে থাকে। মন্ত্রণালয় এ বছর ৯০ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি মযার্দা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। যদিও গত বছর মাত্র ৩৫ জনকে এই মযার্দা দেয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ এক কমর্কতার্ বলেন, জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশি দূতাবাস এবং হাইকমিশনে অনাবাসি বাংলাদেশিদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব শাহিনা ফেরদৌসী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কমর্সংস্থান মন্ত্রণালয় তিনটি খাতে মোট ৯০ জন অনবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি মযার্দা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাতগুলো হলো- সবোর্চ্চ বিনিয়োগকারী ৫ জন, সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো ৭৫ জন এবং ১০ জন সবোর্চ্চ বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক। খাত-১ অনুযায়ী কোনো অনাবাসী বাংলাদেশি সরাসরি শিল্পখাতে ২০১৭-১৮ অথর্বছরে কমপক্ষে ৩ লাখ মাকির্ন ডলার বিনিয়োগ করলে তিনি সিআইপি মযার্দার জন্য আবেদন করতে পারবেন। খাত-২ অনুযায়ী কোনো অনাবাসী বাংলাদেশি ২০১৭-১৮ অথর্বছরে বৈধ ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কমপক্ষে এক লাখ মাকির্ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠালে তিনি আবেদন করতে পারবেন। খাত-৩ অনুযায়ী কোনো অনবাসী বাংলাদেশি ২০১৭-১৮ অথর্বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে তিন লাখ মাকির্ন ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করলে তিনি আবেদন করতে পারবেন। কোনো অনাবাসী বাংলাদেশি সিআইপির জন্য আবেদন করতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নিদেির্শকা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রæয়ারির মধ্যে জমা দেয়া যাবে। আবেদনপত্র সরাসরি মন্ত্রণালয় অথবা বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে জমা দেয়া যাবে। এদিকে, মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয় মোট ৩৫ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি মযার্দা দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৯ জনকে দেয়া হয় সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য। বাকি ছয় জনকে দেয়া হয় বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য। সরকারি নীতিমালা অনুসারী, কোনো সিআইপি কাডর্ধারী প্রজ্ঞাপন জারির পরবতীর্ এক বছরের জন্য সচিবালয়ে প্রবেশসহ বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করেন। সিআইপি কাডর্ধারী ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সরকারি বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। সিআইপি, তার পোষ্য এবং সন্তান চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা পান। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি এবং লাগেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। তারা দেশে এবং দেশের বাইরে উচ্চপদস্থ কমর্কতাের্দর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।