ঋণের তথ্য ফাইলে সংরক্ষণের শর্ত শিথিল

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) দেওয়া ঋণ নবায়ন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ফাইলে সংরক্ষণের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আলোচ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের তথ্য ফাইলে সংরক্ষণে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের তথ্য সংরক্ষণের মেয়াদ গত ১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনার ল?ক্ষ্যে ঋণ নবায়নের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং নতুন ঋণের ফাইল নিয়মনীতি মে?নে সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) দেওয়া ঋণ নবায়ন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সংরক্ষণের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সিএমএসএমই খাতের যেসব প্রতিষ্ঠান ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন অনুযায়ী, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে, ওইসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ অনুমোদন ও নবায়নের সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের দ্বারা নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বাধ্যতামূলকভাবে আগামী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যথাযথভাবে ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে। এর আগের নির্দেশনায় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এসব ঋণের তথ্য সংরক্ষণের সময় নির্ধারণ ছিল। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সিএমএসএমই খাতের ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ সালের ৪৫ ধারা ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।