‘রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অজের্ন পণ্যের বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই’

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অজের্ন পণ্যের বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি গতকাল সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমাসর্ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পষের্দর সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঊধ্বর্তন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আবুল কাসেম খান, আশরাফ আহমেদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নীতিমালার সহজীকরণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানির নিধাির্রত লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করতে হলে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ একান্ত আবশ্যক এবং এ জন্য আমাদের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় অন্যান্য পণ্যের জন্য প্রণোদনা ও বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। তিনি দেশের রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য রপ্তানিমুখী পণ্যের খাতভিত্তিক চাহিদাপত্র প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী কাযর্করী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন। ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ এলডিসি পরবতীর্ সময়ে বাংলাদেশের অথৈর্নতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার জন্য রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন বিষয়সমূহ নিয়ে বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণে একটি সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে আমাদের একটি কমপ্রিহেনসিভ ট্রেড পলিসি প্রণয়ন ও অটোমেটেড শুল্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই’র সভাপতি ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কোর-কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন, যেখানে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধি রাখার আহŸান জানান। বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশ এলডিসি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে, তাই সে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের মতামতের ভিত্তিতে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক। তিনি জানান, বতর্মানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে ইআরসি এবং আইআরসির সনদ প্রদান করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হয়রানি হ্রাস পাবে এবং ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় হ্রাস পাবে।