পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর কমছে মুনাফা

সম্প্রসারণে এসে সংকুচিত হচ্ছে বেঙ্গল উইন্ডসোরের ব্যবসা

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শেয়ারবাজার থেকে অথর্ উত্তোলন করা বেঙ্গল উইন্ডসোর থামোর্প্লাস্টিকের ব্যবসায় সংকুচিত হচ্ছে। প্রতিবছরই কমছে মুনাফার পরিমান। এছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ৫ বছরেও বাড়েনি বিক্রয়। কোম্পানিটি উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করলেও এখন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকাসর্ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, সম্প্রসারনের লক্ষ্যে শেয়ারবাজার থেকে অথর্ উত্তোলনের পরে ৫ বছরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়া হতাশাজনক। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসার আগে বিভিন্ন কোম্পানির কৃত্রিম মুনাফা দেখানোর যে অভিযোগ রয়েছে, তার সত্যতা পাওয়া যায়। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল উইন্ডসোর ২০১৩ সালে ব্যবসায় সম্প্রসারনের লক্ষ্যে শেয়ারবাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ২৫ টাকায়। ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ১২) ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ১.৬২ টাকা ও ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ২৪.৫৯ টাকা শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দেখিয়ে এই দরে শেয়ার ইস্যু করা হয়। যা উত্তোলনে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট। কোম্পানিটির আইপিও পূবের্ ৫৪ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। যা আইপিও পরবতীের্ত ৭০ কোটি টাকায় উন্নিত হয়। তবে ২০১৩ সালে ৮ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ ও ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে তা বেড়ে দঁাড়িয়েছে ৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। ২০১২-১৩ অথর্বছরে কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় হয়। যেখানে থেকে নিট ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৪.১৬ টাকা মুনাফা হয়। যা সবের্শষ ২০১৭-১৮ অথর্বছরে ৮৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিক্রয় থেকে মুনাফা নেমে এসেছে ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ১.৫৩ টাকায়। অথচ ওই সময়ের ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার নিট সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২১৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দেখা গেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পরবতীর্ বছরেই (২০১৩-১৪) নিট মুনাফা কমে আসে ২৩ কোটি ৬ লাখ টাকায়। যা পরবতীর্ ২০১৪-১৫ অথর্বছরে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অথর্বছরে ২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অথর্বছরে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ও ২০১৭-১৮ অথর্বছরে ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। এদিকে ২০১৩-১৪ অথর্বছরে ইপিএস কমে আসে ৩.০৫ টাকা। যা পরবতীর্ ২০১৪-১৫ অথর্বছরে ২.৫৭ টাকা, ২০১৫-১৬ অথর্বছরে ২.৫৪ টাকা, ২০১৬-১৭ অথর্বছরে ১.৮৫ টাকা ও ২০১৭-১৮ অথর্বছরে ১.৫৩ টাকা ইপিএস হয়েছে। কোম্পানিটির ভালো ব্যবসায় দেখিয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করলেও তার কোন সুফল পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা। প্রতিটি শেয়ারে ২৫ টাকা বিনিয়োগ করা কোম্পানি থেকে ২০১৭-১৮ অথর্বছরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি ৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা। তবে এটা ২৫ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে হয় মাত্র ২ শতাংশ। লভ্যাংশে এমন পতনে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে পতিত হয়েছে।