আট প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রম্নত করার উদ্যোগ সরকারের

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
প্রক্রিয়াধীন থাকা বিদেশি সহায়তা ব্যবহার করতে না পারা বাংলাদেশের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা, যা সমাধানে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এ কারণে দীর্ঘদিন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় আটকে থাকা প্রকল্পগুলোকে দ্রম্নততর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সহায়তা প্যাকেজগুলো অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। তবে সুষ্ঠুভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে এসব তহবিলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও জবাবদিহির শর্ত থাকায়, বাংলাদেশ এসব তহবিল ব্যবহার করতে পারেনি। প্রক্রিয়াধীন বা পাইপলাইনে থাকার অর্থ উন্নয়ন সহযোগীরা প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দিয়েছে, তবে তহবিল ছাড় করেনি বা তা পুরোপুরি ব্যবহৃত হয়নি। প্রকল্প অনুমোদন বা বাস্তবায়নে বিলম্ব; তদারকি নিশ্চিতে বিভিন্ন প্রতিকূলতা; বা আমলাতান্ত্রিক সমস্যার মতো নানান কারণে এমনটা হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ২৭ মার্চ একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আহ্বান করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৩.৩ বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণ থাকা আট প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া কীভাবে দ্রম্নততর করা যায়, এটাই হবে সভার মূল বিষয়বস্তু। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশ যখন বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে, সেই সংকটময় সময়েই এলো সরকারের এই উদ্যোগ। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পাইপলাইনে থাকা প্রকল্পের সংখ্যা পাঁচটি। এগুলোর আওতায় দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'এর মধ্যে একটি প্রকল্প ইতোমধ্যেই একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে বাকি চার প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দ্রম্নত প্রকল্প প্রস্তাব পুনর্গঠনের কাজ দ্রম্নত শেষ করতে বলা হয়েছে।' বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে- 'হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট'। ২০২১ সালের জুনে প্রকল্পটির জন্য ১৯১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাটি। তবে, অনুমোদনের পর দুই বছর পেরোলেও বাংলাদেশ এই ঋণ ব্যবহার করতে পারেনি। ঋণ ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশকে ১৮ মাস সময় দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক, তবে সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়ে আরও তিন মাস সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। অতীতের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশে যখন জরুরিভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার দরকার, এর মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নকৃত আরও চারটি প্রকল্পের ঋণও ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশ।