ডিএসইতে বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ্‌ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে ২৭ থেকে ৩০ মার্চ লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। সব ধরনের সূচকও কমেছে। গেল সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ টাকা। যার ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। দশ কোম্পানিরই লেনদেন হয়েছে ৬৯৩ কোটি ২২ টাকা। তবে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর সূত্রমতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সূত্রমতে, গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯১টির, দর কমেছে ৪০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৭টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ্‌ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ৩৫ পয়েন্ট ছিল। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ২০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ লেনদেন করেছে। এ ছাড়া ইস্টার্ন হাউজিং ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড (বি ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সি পার্ল বিচ ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কস ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সময় বাজার মূলধন পরিমাণ কমেছে ৫৭৪ কোটি টাকা। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক কমেছে। সিএসইর সূত্রমতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৬টির, দর কমেছে ৪৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির। পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২৮৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪১ দশমিক ৮১ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৪৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই এসএমইএক্স সূচক দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে। গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরি ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরি ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার। একাই ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। এ ছাড়া এনভয় টেক্সটাইলস ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্স (বি ক্যাটাগরি) ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৭ কোটি ৪ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাত ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্স ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক (এন ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেল ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং এডিএন টেলিকম ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।