এসএমএসে পলিসির তথ্য জানাবে আইডিআরএ

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জীবন বীমায় উন্নত গ্রাহকসেবা, কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা, এজেন্টের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ইউনিফাইড মেসেজিং প্ল্যাটফমর্ (ইউএমপি) গড়ে তুলছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ (আইডিআরএ)। ওই প্ল্যাটফমর্ ব্যবহার করে জীবন বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের পলিসিসংক্রান্ত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবে সংস্থাটি। এতে জীবন বীমায় স্বচ্ছতা ফিরবে বলে আশা করছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা। আইডিআরএ সূত্র জানিয়েছে, জীবন বীমা কোম্পানিগুলো মাঠ পযাের্য় এজেন্টের মাধ্যমে পলিসি সংগ্রহ করে। গ্রাহকের সচেতনতার অভাবসহ বেশ কিছু কারণে বীমার প্রিমিয়াম সঠিক সময়ে জমা হয় না। গ্রাহকের অথর্ আত্মসাতের ঘটনাও ঘটে। প্রিমিয়াম পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় বীমা পলিসি ঝরে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বীমা দাবি পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। হয়রানির শিকার হয়ে গ্রাহককে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। তাই জীবন বীমার পলিসির প্রিমিয়াম আদায় ও জমা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। তথ্যমতে, ব্যবসারত জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ইউএমপি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওই প্ল্যাটফমর্ থেকে গ্রাহকের পলিসির প্রিমিয়াম জমা দেয়ার নিধাির্রত সময়ের আগে এবং জমা হওয়ার পর গ্রাহকের সেলফোনে এসএমএসের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিদের্শনা মেনে এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দেবে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। আর এসএমএসের খরচ কোম্পানির কাছ থেকে নেয়া হবে। গত সোমবার জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে দিকনিদের্শনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই পদক্ষেপে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন খাত সংশ্লিষ্টরা। নতুন নিদের্শনা মেনে গ্রাহকের পলিসির তথ্য জানানোর জন্য ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। এতে জীবন বীমা কোম্পানির ব্যয় বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বতর্মানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৩২টি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে জীবন বীমা ব্যবসা করা হচ্ছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, দক্ষ জনবল সংকট, লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগ, বীমা ঝরে পড়া ও বীমা দাবি পূরণে কালক্ষেপণের কারণে জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ছে না। মানুষের আস্থা বাড়াতেই এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।