ক্রেডিট কাডির্বহীন লেনদেনের নতুন পদ্ধতি ‘এনএফসি’

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রযুক্তির উন্নয়নের এ সময়ে গ্রাহকরা পকেটে ক্রেডিট কাডর্ বহনেও অনীহা প্রকাশ করছেন। এজন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ‘নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন’ বা এনএফসি প্রযুক্তির ক্রেডিট কাডর্। কোনো বস্তুগত কাডর্ ব্যবহার না করে শুধু মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে এনএফসি প্রযুক্তির ক্রেডিট কাডর্ ব্যবহার করা হয়। বতর্মানে উন্নত বিশ্বে এ ধরনের ক্রেডিট কাডর্ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও বাংলাদেশে এ ধারণাটি এখনও নতুন। কয়েকটি ব্যাংক এনএফসি প্রযুক্তির ক্রেডিট কাডর্ নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। এ অবস্থায় এনএফসি প্রযুক্তিতে ‘কন্টাক্টলেস পেমেন্ট সাভির্স’ দিয়ে কাডির্ভত্তিক লেনদেনের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ সইকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে এনএফসি কাডের্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঝুঁকি হ্রাস ও গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে বেশ কিছু নিদের্শনাও সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কেবল ইএমভিকো মানদÐে উত্তীণর্ ক্রেডিট কাডের্ এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করা যাবে। এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত ক্রেডিট কাডির্ভত্তিক লেনদেনের সবোর্চ্চ সীমা ৩ হাজার টাকা নিধার্রণ এবং ওই সীমার মধ্যে শুধু এনএফসি প্রযুক্তির কাডির্ভত্তিক লেনদেনের জন্য পিআইএন বা টুএফএ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হলো। তবে এসএমএস অ্যালাটর্ সাভিের্সর মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিটি লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহককে জানাতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে সব ধরনের মাচের্ন্ট অবস্থানে এ প্রযুক্তির লেনদেনের জন্য উল্লিখিত নিধাির্রত সীমা প্রযোজ্য হবে। সীমার বাইরে এ ধরনের কাডের্র মাধ্যমে সংঘটিত সব লেনদেন কন্টাক্ট এবং পিআইএন বা টুএফএ ভিত্তিক হবে। গ্রাহকের পূবার্নুমতি ব্যতীত এনএফসি প্রযুক্তিনিভর্র কাডের্ লেনদেন কাযর্কর হবে না উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্রাহক তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী এনএফসির সীমার নিচের লেনদেনও কন্টাক্ট এবং পিআইএন বা টুএফএ’র মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে। এ ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে গ্রাহককে ইস্যুইং এবং অ্যাকুইরিং উভয় ব্যাংকই পূণর্ সহযোগিতা করবে। অথার্ৎ কোনোভাবে গ্রাহককে এনএফসি প্রযুক্তিতে লেনদেনে বাধ্য করা যাবে না। এনএফসি প্রযুক্তি সংবলিত কাডর্ ইস্যুকারী ব্যাংক পছন্দমতো তার নিজস্ব কাডর্ গ্রাহকদের এনএফসি প্রযুক্তির লেনদেনের সীমা উল্লিখিত সবোর্চ্চ সীমার নিচেও নিধার্রণ করতে পারবে। গ্রাহক সচেনতা বৃদ্ধির জন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে গ্রাহক সচেতনতার লক্ষ্যে এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত সব কাডর্, মাচের্ন্ট পয়েন্ট এবং পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনে দৃশ্যমান ‘কন্টাক্টলেস লোগো’ প্রদশের্নর ব্যবস্থা করবে, যাতে সহজেই এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কাডর্ অন্য কাডর্ থেকে পৃথক করা সম্ভব হয় এবং এ ধরনের কাডের্র মাধ্যমে লেনদেন গ্রহণকারী মাচের্ন্টকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কাডের্র বৈশিষ্ট্য, নিরাপদ ব্যবহার বিধি, লেনদেনের সীমা এবং ঝুঁকি সম্পকের্ গ্রাহককে স্পষ্টভাবে অবহিত করবে। ব্যাংকগুলোকে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া এনএফসি প্রযুক্তিযুক্ত কাডর্ সম্পকের্ গ্রাহকের কাছ থেকে একাধিক উপায়ে (ওয়েবসাইট, ই-মেইল, এসএমএস, কলসেন্টার) তথ্য বা অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে যে কোনো ধরনের অভিযোগপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিএম এবং কাডর্ নট প্রেজেন্ট ট্রানজেকশন্সের (সিএনপি) যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শিথিলতাগুলো প্রযোজ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।