উদ্বেগে সংকুচিত চীনের কারখানা কাযর্ক্রম

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের কারখানা কাযর্ক্রম টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সংকুচিত হয়েছে। দেশটির আনুষ্ঠানিক পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টাসর্। কারখানা কাযর্ক্রমের সূচক ৪৯ দশমিক ৫০ পযর্ন্ত উঠলেও তা ৫০ পয়েন্টের নিচে ছিল। ৫০ পয়েন্টের নিচে থাকার অথর্ কারখানা কাযর্ক্রম সম্প্রসারণের পরিবতের্ সংকুচিত হয়েছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুবর্ল অথৈর্নতিক সম্প্রসারণ হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির প্রবৃদ্ধি আরো শ্লথ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশকিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, চীনে দুবর্ল প্রবৃদ্ধির কারণে তাদের মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সূচক ৪৯ দশমিক ৪০-এর চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অথর্নীতিবিদ মাসের্ল থিলিয়েন্ট জানান, পিএমআই জানুয়ারিতে না কমলেও বোঝা যাচ্ছে চলতি বছরের শুরুতেই অথর্নীতির গতি হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য উপাত্ত যেমন ভোক্তা আস্থা ও খুচরা বিক্রির তথ্য থেকেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অথর্নীতিতে চাহিদা দুবর্ল হয়ে পড়ছে। অ্যাপলসহ বেশকিছু আন্তজাির্তক প্রতিষ্ঠান চীনের শ্লথগতির বিষয়ে সতকর্ করেছে। টেক জায়ান্ট অ্যাপল জানিয়েছে, চীনে তাদের মুনাফা ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে শিল্প-কারখানার যন্ত্রাংশ নিমার্তা ক্যাটারপিলার জানিয়েছে, মূলত চীনে বিক্রির শ্লথগতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ খবরের পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। চিফ নিমার্তা এনভিদিয়া জানিয়েছে, দুবর্ল চীনা বাজারের কারণে তাদের বিক্রিতে ধীরগতি দেখা গেছে। আঠালো টেপ থেকে শুরু করে এয়ার ফিল্টার নিমার্তা থ্রিএম জানায়, চীনে দুবর্ল ভোক্তা চাহিদার কারণে মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে রপ্তানি ও বিনিয়োগের পরিবতের্ চীন এখন তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে অথর্নীতি সংস্কার করার চেষ্টা করছে। এদিকে চীন-মাকির্ন বাণিজ্যযুদ্ধও দেশটিতে অথৈর্নতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় চীন ও মাকির্ন কমর্কতাের্দর মধ্যে ওয়াশিংটনে দুদিন ধরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদি দুই পক্ষ ১ মাচের্র মধ্যে কোনো চুক্তিতে আসতে না পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের মতে, দেশটির তিন শতাধিক তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বাষির্ক লোকসানের পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার (১০ কোটি ইউয়ান) ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাংহাই সিকিউরিটিজ নিউজ জানিয়েছে, চীনের স্টক এক্সচেঞ্জের শতর্ অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বলছে, সম্পদের মূল্য কমে যাওয়ায় এবং সরবরাহকারীদের কাছ থেকে দেরিতে অথর্ পাওয়ার কারণেই তাদের এ লোকসান হচ্ছে।