অবাধ দরপতনে শেয়ারবাজার

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অর্থবাজারের তারল্য পরিস্থিতি উন্নয়নের কোনো সংবাদ আসছে না। এদিকে প্রাইভেট পেস্নসমেন্ট ও প্রাথমিক শেয়ারে অতি বিনিয়োগের প্রবণতায় সেকেন্ডারি বাজার থেকেও তারল্য বেরিয়ে যাচ্ছে। এর ওপর একদল বিনিয়োগকারীর একমুখী ঝোঁক বিভিন্ন খাতে মূলধন প্রবাহে বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি করছে। দরপতনে লোকসানের শিকার হয়ে লেনদেনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ। প্রায় প্রতিদিনই সূচক পড়ছে। সেমাবার প্রধান সূচকে ১ শতাংশের বেশি পয়েন্ট হারিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শুরু করেছে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। নির্বাচনপরবর্তী উত্থানের অর্ধেকটাই মিলিয়ে গেছে নবম সপ্তাহে গড়ানো এ অবাধ দরপতনে। বাজার চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, শান্তিপূূর্ণ জাতীয় নির্বাচন ও নতুন মন্ত্রিসভায় আশাবাদী হয়ে বিনিয়োগকারীরা বছরের শুরু থেকেই বাজারে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। নির্বাচনপূর্ব বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছিল। জানুয়ারিতে তার অর্ধেকটা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয় বাজার। পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে উন্নীত হয় বাজার। তবে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নিয়ে শঙ্কা বাড়তে থাকায় সংশোধনের ধারায় ফেরে বাজার। উত্থানপর্বে যেসব শেয়ারের দর বেশি বেড়েছিল, সেগুলোয় অনেক বিনিয়োগকারীর পুঁজি আটকে যাওয়ায় গত দুই মাসেও চাঙ্গাভাব ফেরেনি বাজারে। এদিকে বিরল স্টক লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারে। অন্যান্য খাতের শেয়ার বিক্রি করে হলেও সেগুলো কেনাবেচার চেষ্টা করছেন অনেক বিনিয়োগকারী। ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫১২ পয়েন্টে নেমে এসেছে ডিএসইএক্স। কেনাবেচা ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৩৫৪ কোটির ঘরে। গত আট সপ্তাহে শেয়ারের মূল্যস্তর কমার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচার দৈনিক গড়ও ধাপে ধাপে নামছে। লভ্যাংশ ও মুনাফা সন্তোষজনক হলেও আউটলুক নেতিবাচক থাকায় গতকাল দরপতনের নেতৃত্বে ছিল আর্থিক সেবা খাত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ব্যাংকিং খাতের বাজার মূলধন, প্রায় আড়াই শতাংশ। বিপরীতে টেলিযোগাযোগ, সিরামিক, প্রকৌশল ও বিদু্যৎ-জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন সামান্য বেড়েছে। এদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সামান্য বাড়লেও শতকরা হিসেবে সেখানে আরো বেশি পতন হয়েছে সূচকে।