হিলিতে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ৮-১০ টাকা

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা কমেছে নতুন আলুর দাম। ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ ও দেশীয় পুরনো আলুর সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল পণ্যটির বাজার। দেশীয় আলু পুরোদমে বাজারে উঠলে সামনে দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই আলুর সরবরাহ বেড়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দামও কমতির দিকে। চার দিন আগে বাজারে প্রতি কেজি দেশীয় নতুন লাল ও সাদা বর্ণের আলু ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪০ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, 'দেশীয় নতুন আলু ওঠার খবরে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। তবে এখন আবার কমতে শুরু করেছে। এখন ৪০ টাকা কেজিতে আলু নেওয়া যাচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে প্রয়োজনের চেয়ে কম নিতে হতো। এখন দাম একটু কমায় বেশি করে নিচ্ছি। দাম যেন আর না বাড়ে, এর জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ভর্তা-ভাত হলেও খেয়েপরে বাঁচতে পারে।' হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'বেশ কয়েকদিন হয় ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশীয় পুরনো আলুর মজুতও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এর পরও আলুর দাম কমছে না। হিলিসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় দেশীয় নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। একইভাবে দেশের সব অঞ্চলেই কৃষকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলতে শুরু করেছেন। এ কারণে বাজারে দেশীয় নতুন আলুর সরবরাহ অনেকটা বেড়েছে। তাই মোকামগুলোয় আলুর দাম কমতে শুরু করেছে।' তিনি বলেন, 'কম দামে কিনতে পারায় আমরাও কম দামে বিক্রি করছি। তবে মাঝে দুই-তিন দিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় বেশি শীত পড়ায় শ্রমিকরা কাজে যেতে পারেননি। এ কারণে ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন কিছুটা কমে গিয়েছিল। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আবারও কৃষকরা ক্ষেত থেকে আলু তুলতে শুরু করেছেন। এতে বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে সব এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু উঠতে শুরু করবে। তখন দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে।' জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, 'আমাদের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবেই জেলার বিভিন্ন স্থানে মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যেন অহেতুক কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।' কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ অন্য যে বিধান রয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।