জেনেভায় ডবিস্নউটিও সদস্যদের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী

অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্‌শি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্‌শি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং এসডিজির লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে অর্থবহ সুবিধা বাংলাদেশের প্রয়োজন। বিশ্ববাণিজ্য সুবিধা এ কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য খুবই সহায়ক হবে। ডবিস্নউটিও পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে, বাণিজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ চায় অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সব সিদ্ধান্তের  দ্রম্নত বাস্তবায়ন। জেনেভায় সফররত টিপু মুন্‌শি গত শুক্রবার বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির শেষ সভায় এ সব কথা বলেন। ডবিস্নউটিও  ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়াম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় এ্যাম্বাসেডর ডি রোবার্ত উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি'র নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জেনেভাস্থ বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডবিস্নউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরীসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ ট্রেড পলিসি রিভিউ সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করেন। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্ব সভায় তা স্বীকৃত। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করে জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছে, এসডিজি বাস্তবায়নে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ চায় ডবিস্নউটিও এবং ক্রেতাগোষ্ঠীর আন্তরিক সহযোগিতা। অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এখন সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ আধুনিক করেছে। আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেছে, কাজ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। সড়কপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মালামাল পরিবহন এখন দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে সম্ভব। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের আগ্রহ এবং সদস্য দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে আরও উৎসাহিত করেছে। এডিপি দ্রম্নত অগ্রগামী পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম উলেস্নখ করেছে এবং এ বছর জিডিপি ৮ ভাগ অর্জনের কথা বলেছে। বাংলাদেশ এখন দ্রম্নত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূল বিশ্ববাণিজ্যে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছে। ট্রেড পলিসি সময়োপযোগী করা হয়েছে। বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মোতাবেক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। পণ্যের উৎপাদন খরচ কম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী স্থান। বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। এতে বিনিয়োগের পরিমাণ  দিনদিন বাড়ছে বলে মন্ত্রী জানান।