প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান

তামাকের ব্যাপারে কোনো আপস নেই

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিদ্যমান তামাক কর-কাঠামো খুবই জটিল। একাধিক মূল্যস্তর এবং বিভিন্ন দামে তামাক পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থাকায় এর ব্যবহার কমাতে এনবিআরের করপদক্ষেপ কাজে আসছে না। এছাড়া তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চস্তরের সিগারেট নিমস্তরে ঘোষণা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় তরুণ, নারী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে কার্যকর তামাক করের দাবিতে গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বসে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারা (এনবিআর) আপোসহীন'। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় আত্মার প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকরা অংশ নেন। এ সময় আত্মার পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য তামাক-কর ওপর চারটি প্রস্তাব দেয়া হয়। বাজেট প্রস্তাবসমুহ হচ্ছে- ১. সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে কমিয়ে ২টিতে নিয়ে আসা। ৩৫ টাকা এবং ৪৮ টাকা এ দুইটি স্তরকে এক করে একটি মূল্যস্তর (নিম্নস্তর) এবং ৭৫ টাকা ও ১০৫ টাকা মূল্যস্তরকে আরেকটি মূল্যস্তরে (উচ্চস্তর) নিয়ে আসা। ২. বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৪.৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। ৩. ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির ন্যায় 'খুচরা মূল্যের' ভিত্তিতে করারোপ করা। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার ওপর ৫ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের ওপর ৩ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং। ৪. সব তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখা।