এসি এক্সচেঞ্জ অফারের মেয়াদ বাড়াল ওয়ালটন

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের 'এসি এক্সচেঞ্জ অফার'। আর তাই অফারের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোনো ব্র্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ওয়ালটনের নতুন এসি কিনতে পারবেন পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে। ওয়ালটন পস্নাজা ও শোরুমে পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি কেনা যাবে। পুরনো এসি জমা দিলে গ্রাহক তার পছন্দকৃত নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। আগে এই অফারটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সে সময় বিপুল সংখ্যক ক্রেতা বদলে নিয়েছেন পুরনো এসি। এছাড়া ওয়ালটন এসির সকল ক্রেতাই পাচ্ছেন ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৪ এর আওতায় গত মার্চের ১ তারিখ থেকে ওয়ালটন এসি কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন পুরো এক বছরের বিদু্যৎ বিলের টাকা ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এদিকে ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন পস্নাজা বা পরিবেশক শোরুম থেকে এসি কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপস্নায়েন্সেস ফ্রি। ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, একজন গ্রাহক যদি দৈনিক সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা করে এসি চালু রাখে, তাহলে প্রতি ইউনিট বিদু্যতের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওয়ালটনের ১ টন এসিতে বাৎসরিক বিদু্যৎ বিল আসতে পারে প্রায় ১২ হাজার টাকা। ১.৫ টন ও ২ টনের এসিতে বাৎসরিক বিদু্যৎ বিলের পরিমাণ হতে পারে যথাক্রমে ১৫ হাজার এবং ১৮ হাজার টাকা। এই হিসাবের চেয়েও বাড়তি অর্থ দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। ওয়ালটনের ১ টনের এসি কিনে এক বছরের বিদু্যৎ বিল বাবদ ক্রেতারা পেতে পারেন ১৪ হাজার ৪শ' টাকা। আর ১.৫ টনের এসি কিনলে ভাগ্যবান ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা ও ২ টনের এসি কিনলে ২১ হাজার ৬শ' টাকা। প্রকৌশলী রনি জানান, এরইমধ্যে ওয়ালটন এসি কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পুরো এক বছরের বিদু্যৎ বিলের টাকা ফ্রি পেয়েছেন শতাধিক ক্রেতা। এক্সচেঞ্জ অফারের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, দেশে তৈরি বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য ও সর্বোত্তম সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন বদ্ধপরিকর। এসি এক্সচেঞ্জ অফার ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- গ্রাহকরা যেন সহজেই দেশে তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটন এসির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। সূত্রমতে, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে গ্যারান্টির সময় আরো দুই বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে ওয়ালটন। রয়েছে ৬ মাসের রিপেস্নসমেন্ট গ্যারান্টি ও ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধাও। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস সিস্টেমের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রম্নত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন এসির সেলস ও মনিটরিং বিভাগের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়ের পর বাজারজাত করা হয়। ফলে স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ওয়ালটন এসি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে 'মেড ইন বাংলাদেশ' ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন এসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে। এ বছর স্থানীয় বাজারে লেটেস্ট প্রযুক্তির ১ টন, ১.৫ টন ও ২ টনের মোট ১৫ মডেলের স্পিস্নট এসি ছেড়েছে ওয়ালটন। এসব এসির দাম ৩৫ হাজার ৯শ' টাকা থেকে ৭৬ হাজার ৪শ' টাকার মধ্যে। স্পিস্নট এসির পাশাপাশি ৪ ও ৫ টনের সিলিং ও ক্যাসেট টাইপ এসিও উৎপাদন করছে ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় তৈরি হচ্ছে ১৭ থেকে ২৫ টনের সিঙ্গেল মডিউলার ভিআরএফ এসি। মাঝারি স্থাপনায় কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হবে এসব এসি। একই সময়ে পুরো ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এ প্রযুক্তি। অর্থাৎ একটি ভবনের ইনডোর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কমফোর্ট কুলিং এবং ডুয়াল সেন্সিং সিস্টেম। ফলে, প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা ও গরম বাতাস পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারকারীর সুবিধামতো ঘরের যেকোনো স্থানে স্বল্প পরিসরে স্থাপন করা যায়। বিজ্ঞপ্তি