সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএর নেতারা

শেয়ারবাজারে আস্থার সংকট

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের শেয়ারবাজারে আস্থার সংকটের কারণে সম্প্রতি টানা দরপতন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ডিবিএর পক্ষ থেকে বলা হয়, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মানসম্মত প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) আনতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি মো. শাকিল রিজভী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ডিবিএর নেতারা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে শাকিল রিজভী বলেন, বৈঠকে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্বল আইপিও। দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই বলে আইপিও বন্ধ করা যাবে না, অবশ্যই আইপিও আসতে হবে। সেই আইপিও হতে হবে মানসম্মত। যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইপিওতে মানসম্মত কোম্পানি আনার বিকল্প নেই। এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, মানসম্মত আইপিও আসলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। এর ফলে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শক্ত ভূমিকা থাকলে ভালো আইপিও আসবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ভালো ও মানসম্মত কোম্পানি আনার ক্ষেত্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে অবশ্যই শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি জানান, আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জের মতো আইপিওর আগে প্রত্যেকটি কোম্পানির ড্রাফট প্রসপেক্টাস ডিবিএর কাছে দেয়ার দাবি জানানো হবে। যাতে প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা করে কোনো সমস্যা পেলে ডিবিএর পক্ষ থেকে তা বিএসইসিকে অবহিত করা যায়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাকিল রিজভী বলেন, ভবিষ্যতে কেউ অসৎ উপায়ে আইপিও আনলে ডিবিএ সোচ্চার হবে। ভালো কোম্পানি আসছে না বলে বাজারে ভালো বিনিয়োগকারী আসছেন না। আইপিওর ক্ষেত্রে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিটিকে আরও ভালো করতে হবে। সম্প্রতি দরপতনের কারণ হিসেবে ডিবিএ সভাপতি বলেন, আস্থা সংকটের কারণেই সম্প্রতি শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়া, তারল্য সংকট, সঞ্চয়পত্রের সুদ হার বেশি থাকা, লভ্যাংশ হিসেবে অতিমাত্রায় বোনাস শেয়ার দেয়া শেয়ারবাজারের দরপতনে প্রভাব ফেলছে। তিনি জানান, স্টক এক্সচেঞ্জের দুই কিলোমিটারের মধ্যে ব্রোকারেজ হাউসের সার্ভিস সেন্টার খোলার নিয়ম রয়েছে। চলতি বছরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান কার্যালয় নিকুঞ্জে চলে যাবে। তাই ঢাকা মেট্রো পলিটন এলাকার মধ্যে ব্রেকারেজ হাউসের সার্ভিস সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়ার জন্য বিএসইসির কাছে দাবি জানানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এক্সপোজার সমস্যার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তাই বিএমবিএর পক্ষ থেকে বন্ড ইসু্য করার অনুমোতি চাওয়া হবে। যে বন্ডের অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকের এক্সপোজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না।