প্রযুক্তিগত বস্ত্র-পোশাকে অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বৃষ্টির পানি নিরোধক পোশাক ও অগ্নি প্রতিরোধী পোশাক তৈরির প্রধান উপকরণ বিশেষ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত বস্ত্র বা কাপড়। এ ধরনের বস্ত্র ও পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা যৎসামান্য। পর্যায়ক্রমে হলেও এই সক্ষমতা বাড়াতে চান সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তারা। এ লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত কারিগরি বস্ত্র ও বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতেও অংশগ্রহণ করছেন তারা। আজ জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হচ্ছে প্রযুক্তিগত কারিগরি বস্ত্র ও বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী টেকটেক্সটাইল এবং টেক্সপ্রসেস প্রদর্শনী ২০২৪। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য প্রদর্শনীতে অংশ নেবে বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিষ্ঠান। প্রদর্শনীর আয়োজক মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টের তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) সহপ্রদর্শক হিসেবে প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে- এমন পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, টিমস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, আকিজ জুট মিলস, স্মি অ্যাপারেলস, এম অ্যান্ড এ সোর্সিং বাংলাদেশ এবং নেক্সজেন অ্যাপারেল। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করবে- এমন বস্ত্র ও পোশাক পণ্যের মধ্যে রয়েছে, কোটস অ্যাপারেল, প্রফেশনাল অ্যান্ড প্রটেকটিভ ক্লদিং, অ্যাকটিভ ওয়্যার, পাটজাত সুতা, পাটজাত কাপড়ের ব্যাগ ও অন্যান্য পণ্য, মেনস অ্যান্ড লেডিস লং অ্যান্ড শর্ট প্যান্ট, ওয়ার্কওয়্যার/ইউনিফর্ম, ওভেন ও নিট পোশাক ও লঞ্জারি। টেকটেক্সটাইল প্রদর্শনীতে এগ্রোটেক, বিল্ডটেক ও মেডটেকের মতো বিভিন্ন খাতের প্রযুক্তিগত বস্ত্রের প্রদর্শন করা হয়। যেগুলো ওভেন ও ননওভেন কাপড়, কম্পোজিট ও ফাংশনাল পোশাকের বস্ত্র। টেক্সপ্রসেস প্রদর্শনীতে মেশিনারিজ বা যন্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব যন্ত্র ডিজাইন, কাটিং, সেলাই, নিটিং এবং এমব্রয়ডারি থেকে ফিনিশিং, রিফাইনিং, আইটি ও লজিস্টিকস সম্পর্কিত। আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, টেকনিক্যাল বা কারিগরি বস্ত্র আধুনিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান, যা অ্যাকটিভওয়্যার এবং খেলাধুলার পোশাক থেকে শুরু করে জীবন রক্ষাকারী অগ্নিরোধী উপকরণ এবং চিকিৎসা বস্ত্র পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত। গতিশীল জীবনযাপনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং কোভিড-১৯-পরবর্তী ঘরের বাইরের কার্যক্রম উচ্চ পারদর্শিতাসম্পন্ন বৃষ্টির পানি নিরোধক ও তাপপ্রতিরোধী উপকরণের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের উদ্ভাবন প্রদর্শনের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে টেকটেক্সটাইল, যা হালনাগাদ বস্ত্র প্রযুক্তির পাশাপাশি টেক্সপ্রসেসের মাধ্যমে পোশাক ও বস্ত্র যন্ত্র প্রদর্শন করে। প্রদর্শনীতে ইপিবি জাতীয় প্যাভিলিয়ন নিয়েছে, যা বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে জোরদার করেছে। টেকটেক্সটাইলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি টেক্সপ্রসেসে অংশ নিচ্ছে ট্রিপল ট্রি সলিউশন। এবারের আয়োজনে এক হাজার ৬০০-এরও বেশি প্রদর্শকের পাশাপাশি ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, প্রদর্শনীতে নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান আহরণের অবাধ সুযোগ রয়েছে।