রপ্তানি বহুমুখীকরণ না হলে বিপদ :এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব ভবনে ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে রপ্তানি বহুমুখী করার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এটাতে (তৈরি পোশাক) যদি কোনো সময় প্রতিযোগী দেশ আমাদের চেয়ে ভালো করে ফেলে বা আমাদের পেছনে ফেলে দেয়, তখন আমরা এক্সপোর্ট নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাব। এ জন্য এখন আমাদের এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন (বহুমুখী) খুবই দরকার। গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব ভবনে ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রেডিমেট গার্মেন্ট রপ্তানি থেকে বর্তমান আয় ৩০ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আমরা চাই এটা বেড়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার হোক। তবে টোটাল এক্সপোর্ট আরো বেশি বাড়বে অন্য প্রডাক্ট যদি এক্সপোর্ট হয়। উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে আমরা অনুরোধ করব তারা যেন ওয়ালটনের মতো ম্যানুফ্যাকচারার হয়ে যায়। আমাদের দেশে ইলেকট্রিকস পণ্যগুলো তৈরি হচ্ছে এগুলো তৈরি হওয়ার কারণ মূলত রাজস্ব বোর্ড থেকে আমরা যুক্তি সঙ্গত প্রনোদনা দিয়ে আসছি। মোবাইল ফোনের যে ম্যানুফ্যাকচারার হচ্ছে তা আমাদের প্রনোদনার ফলেই হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত থেকে আমরা যদি মোবাইল, টেলিভিশন এগুলো যদি আমরা বাইরে রপ্তানি করতে পারি তাহলে ডাইভারসিফিকেশনের প্রডাক্ট বান্ডেলে আমাদের অনেক কিছু আসে বলেও উলেস্নখ করেন তিনি। ভিয়েতনামের উদাহরণ দিয়ে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভিয়েতনাম শুধু স্যামসাং এর মোবাইল ৬০ থেকে ৭০ বিলিয়ন রপ্তানি করে। আমরা কিন্তু এক্সপোর্ট এর ক্ষেত্রে সকল প্রডাক্টকে একইভাবে দেখতে চাই এবং বন্ড ফ্যাসিলিটিস, প্রনোদনা এগুলো সরকারকে দেয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করব। রপ্তানিতে আমাদের আরও প্রনোদনা দিতে হবে উলেস্নখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, রপ্তানিতে প্রনোদনা দিলে আমাদের দেশে শিল্পায়ন বাড়বে, আমাদের গ্রোথ আরও বেশি হবে। আমাদের যে গ্রোথ দেখানো হয় সেটা একবারে সঠিক। এখন আর কেউ আমাদের গ্রোথ নিয়ে সন্দেহ করে না। তিরি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু রেভিনিউ এর জন্য কাজ করে না, রেভিনিউ অবশ্যই আমাদের একটা টার্গেট, আমরা শিল্পায়নের জন্যও কাজ করছি। ফলে এমপস্নয়মেন্ট হচ্ছে। এমপস্নয়মেন্ট হলে জিনিসপত্র ক্রয় করে। তখন তো আমরা রেভিনিউ পাই। এ জন্য আমরা মনে করি, সুযোগ-সুবিধা দিলে রেভিনিউ কম হবে না।