পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও সূচকের পতন অব্যাহত

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সূচকের উত্থানে এদিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে। পরবর্তী এক ঘণ্টা পর সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সূচক পুনরায় পতনমুখী হতে থাকে

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য ডেক্স
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান লক্ষ্য করা গেলেও দিন শেষে তা পতনমুখী হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচু্যয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিগত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুঁজিবাজারের বিদ্যমান এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। একদিকে পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের ধারাবাহিক পতন ঘটেছে, অন্যদিক সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হচ্ছে নিঃস্ব। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে পুঁজিবাজারে কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না বলে মনে করে বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা। এদিন বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সূচকের উত্থানে এদিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে। পরবর্তী এক ঘণ্টা পর সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সূচক পুনরায় পতনমুখী হতে থাকে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫.৬৩ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৬.১৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.২৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১টির। ডিএসইতে এদিন মোট ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৯৭.২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৬২২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৩.৯২ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৫.৮০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৭ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১৪২.৭৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন, সিএসইতে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২০টির। দিন শেষে সিএসইতে ২৬ কোটি সাত লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।