মোটরসাইকেল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মোটরসাইকেল উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি চেয়েছেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে এ শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোটরসাইকেল ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের পক্ষে হিরো মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমএমইএবির কোম্পানি সেক্রেটারি বিজয় কুমার মন্ডল বলেন, 'দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদন ব্যয় কমাতে অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালের আমদানি শুল্ক পাঁচ এবং ১৫ শতাংশের পরিবর্তে শুধু পাঁচ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।' তিনি দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের ওপর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম। গণপরিবহনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হুইল, রিম, বোল্ট, এক্সেলসহ বেশকিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন। আর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ আগামী বাজেটে যাত্রীবাহী নৌযানে ব্যবহৃত এসির ওপর থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আসছে বাজেটে দেশে গাড়ি ও মোটরসাইকেল উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হবে। একই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি বিবেচনারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'দশ-বারো বছর আগে দেশে মোটরসাইকেল তৈরি শুরু হয়েছে। এখন রানার, হিরো, হোন্ডা এবং বাজাজ দেশে মোটরসাইকেল তৈরি করছে। শিগগির আরও কোম্পানি আসছে। এর ফলে আগামীতে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করতে পারবে। তাতে মোটর সাইকেলের বাজার তৈরি হবে। দেশে শিগগিরই গাড়ি তৈরির আশাবাদ ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, দেশে গাড়ি তৈরির জন্য নীতিমালা করা হবে। মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ দেশেই তৈরি হচ্ছে। ঠিক সেইভাবে গাড়িও তৈরি হবে। আমার ধারণা, গাড়ি তৈরি শিগিরই শুরু হবে। মেইড ইন বাংলাদেশ নামে শুরু হবে। ওয়ার্কশপগুলো টিকে থাকা দরকার। তাদের দু-তিনটি দাবি রয়েছে সেগুলো দেখা দরকার।