শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট পতন অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি সূচকের পতন হয়ছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪০ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১১ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন হয়েছে ৩৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সবচেয়ে লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ন্যাশনাল টিউব এবং ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মুন্নু সিরামিক। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষে ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ফরচুন সুজের, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ব্র্যাক ব্যাংক, ফাইন ফুড, গ্রামীণফোন, বিবিএস কেবলস এবং ডরিন পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসইএক্স ৪৫ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। এদিকে পুঁজিবাজারের ব্যপ্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশ্বাস দিয়েছেন। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৮৩তম কমিশন সভার পর সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান। সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সাইফুর রহমান জানান, সরকারের নীতি অনুযায়ী পুঁজিবাজারের ব্যপ্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে আইসিবি। তাই এ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি আরও শিক্তিশালী করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী ওই প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, সোমবার অর্থমন্ত্রী বিএসইসিত পরিদর্শনে আসলে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজার সহায়ক কিছু কর সংক্রান্ত প্রণোদনা দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেয় কমিশন। অর্থমন্ত্রী ওই প্রস্তাবও বিবেচনার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত দ্বৈত কর (কোম্পানি পর্যায়ে এবং শেয়ারহোল্ডার পর্যায়ে) সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি কমিশন থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় তিনটি বিধিমালা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিধিমালার খসড়া শিগগির জনমত জরিপের জন্য দৈনিক পত্রিকা ও কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানান সাইফুর রহমান। বিধিমালা তিনটি হলো-১. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইনভেস্টমেন্ট সুকুক) রুল ২০১৯ ২. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এক্সচেঞ্জ ট্রেড ডেরিভেটিভস) রুল ২০১৯ ৩. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সর্ট সেল) রুল ২০১৯।