এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম স্থিতিশীল
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
এশিয়ার স্পট মার্কেটে চলতি সপ্তাহে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম স্থিতিশীল রয়েছে। উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় তাপপ্রবাহ চলমান থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বর্ষা মৌসুম আসন্ন। এশিয়ার দুই অঞ্চলে তাপমাত্রার এ ভারসাম্য চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রেখেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
শিল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ১২ ডলার ৬০ সেন্ট।
এ বিষয়ে ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকস ফার্ম কেপলারের ন্যাচারাল গ্যাস অ্যান্ড এলএনজি বিশ্লেষক আনা সুবাসিক বলেন, 'আগামী সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বর্ষা মৌসুম আসন্ন। তাই এ অঞ্চলে বিদু্যতের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে না। দুই অঞ্চলের মধ্যে এ ভারসাম্য বজায় থাকার কারণে এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।'
বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি উৎপাদনকারী দেশগুলোর অন্যতম অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে মার্কিন এনার্জি জায়ান্ট শেভরন পরিচালিত হুইটস্টোন গ্যাস ফ্যাসিলিটিতে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এলএনজি উৎপাদন আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে আনা সুবাসিক জানিয়েছেন, হুইটস্টোন গ্যাস ফ্যাসিলিটিতে পুনরায় এলএনজি উৎপাদন শুরু হতে পারে। এ প্রত্যাশায় সামনের মাসগুলোর সরবরাহ চুক্তিতে আগামী সপ্তাহেও এলএনজির দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজি দাম ছয় মাসে সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। ভারতে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে বিদু্যতের চাহিদা বেড়ে যাওয়াসহ সামনের দিনগুলোয় উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় তাপমাত্রা আরো বাড়ার পূর্বাভাস মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখছিল। তবে ভারতের আবহাওয়া কর্মকর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছে, শিগগিরই দেশটির মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এলএনজির বৈশ্বিক চাহিদা ২০৪০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে রসদ জোগাচ্ছে চীন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্বালানিটির ব্যবহার বাড়াচ্ছে এসব দেশ। ব্রিটিশ বহুজাতিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল এনার্জি এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায়।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বিদু্যৎ ও শিল্পোৎপাদনে অনেক বেশি গ্যাসনির্ভর। এসব দেশে গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। ফলে চলতি দশকে এখানে এলএনজির চাহিদায় বড় ধরনের উলস্নম্ফন দেখা দেবে বলে জানিয়েছে শেল এনার্জি।
এশিয়ার দেশগুলোয় ৫-১০ বছরের মধ্যে এলএনজির চাহিদা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দশকের শেষ দিকে বেশকিছু নতুন সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। এগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে অঞ্চলটি বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।