শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত দুই সপ্তাহে শেয়ারবাজারে একটি বিশেষ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটেছে। বাজারের ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার শক্তিশালী অবস্থানে নিয়েছে। দৈনিক লেনদেনও উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, চলতি সপ্তাহে মার্কেট কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এ কারণে লেনদেন কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু এটা নেতিবাচক নয়। এর মধ্যে মুনাফা তুলে নিয়েছে। এর ফলে এখন সেল প্রেসার কমে যাচ্ছে। এতে আশা করা যায়, বাজার আবারও শক্তিশালী টার্ন নিয়ে ছয় হাজার ২০০ পয়েন্টের রেসিস্টেন্স ব্রেক করবে এবং সামনের দিকে অগ্রসর হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে আবারও মার্কেটে পসিটিভ টার্ন নিবে। তবে যে স্টকগুলো গত দুই সপ্তাহে বেশি বেড়েছে, সেগুলোর স্বাভাবিকভাবে কিছুটা কারেকশন হতে পারে। আর যেগুলো বেশি কমেছে, সেগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি মার্কেটে ব্যালান্সড ওয়েতে সামনের দিকে এগুবে।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৫.৬২ পয়েন্ট কমে ১২৬৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৭.৬৯ পয়েন্ট কমে ২১৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে ৯৯৯ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯১টির, দর কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ইউনিলিভার কনজু্যমার, স্কয়ার ফার্মা, ডিবিএইচ, মেরিকো বাংলাদেশ, বিএটিবিসি, সিটি ব্যাংক ও টেকনো ড্রাগ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ডিবিএইচ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই সিরিঞ্জ, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, সিঙ্গার বিডি, সায়হাম কটন, স্কয়ার টেক্সটাইল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও মেরিকো বাংলাদেশ।
দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ডেল্টা লাইফ ইন্সু্যরেন্স, সোনালি লাইফ ইন্সু্যরেন্স, আইসিবি, ওরিয়ন ইনফিউশন, লিব্রা ইনফিউশন, আল-হাজটেক্স, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সু্যরেন্স, নিউ লাইন, পপুলার লাইফ ইন্সু্যরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইন্সু্যরেন্স।
