বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা কমার পূর্বাভাস
প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা চলতি বছর কমতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক।
প্রতিবেদনে ওপেক জানায়, এ বছর বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে দৈনিক ২১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে নেমে যেতে পারে। জ্বালানি তেলের চাহিদার এ পূর্বাভাসের আগে দেয়া প্রাক্কলনের তুলনায় দৈনিক এক লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল কম।
বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীন। ওপেক তার প্রতিবেদনে চলতি বছর চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক সাত লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। তবে আগস্টে চীনে পণ্যটির চাহিদা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দৈনিক ৬০ হাজার ব্যারেল কমতে পারে।
চীনে আগামী মাসগুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লে ওপেকের পূর্বাভাস প্রমাণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে দেশটির প্রকাশিত অফিশিয়াল তথ্যানুযায়ী, জুলাইয়ে চীনে অপরিশোধিত তেল আমদানি কমে দৈনিক ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। জুনে এ পরিমাণ ছিল দৈনিক এক কোটি ১৩ লাখ ব্যারেল।
চীন চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দৈনিক গড়ে এক কোটি ৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ে চীন দৈনিক এক কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। এ হিসাবে দেশটির আমদানি দৈনিক তিন লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কমেছে। আমদানি উলেস্নখযোগ্যভাবে কমার পরও চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে ওপেক আরো জানায়, আগামী বছর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক দুই লাখ ব্যারেল বেড়ে ১০ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল হতে পারে। এদিকে বিশ্বে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তোলন কমানো হচ্ছে। এসঅ্যান্ডপি গেস্নাবাল কমোডিটি ইনসাইটসের পস্নাটস জরিপ ও অন্যান্য সাতটি মাধ্যমিক সূত্র অনুসারে, ওপেক পস্নাসভুক্ত দেশগুলো জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের উত্তোলন গড়ে দৈনিক চার কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল কমিয়েছে।