২৯ ব্যাংকের মুনাফা ১৪শ' কোটি টাকা!

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে ১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকার মুনাফা দেখিয়েছে। তারল্য সংকেট থাকা ব্যাংকের জানুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই মুনাফা দেখিয়েছে। ২০১৮ সালের একই সময়ে মুনাফা দেখিয়েছিল ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মন্দ ঋণের ভারে ডুবন্ত ব্যাংকগুলো প্রথম প্রান্তিকে যে মুনাফা দেখিয়েছে সেগুলো অনেক টাই কাগজে-কলমে। সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে এখন ত্রিশটি ব্যাংক তালিকাভুক্ত রয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ছাড়া বাকি ২৯টি ব্যাংকেরই মুনাফা হয়েছে। আর এই ২৯টি ব্যাংকের মধ্যে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মুনাফা কম হয়েছে আটটি ব্যাংকের। ফলে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। আর বাকি ২১টি ব্যাংকের মুনাফা ও ইপিএস বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২৯টির ব্যাংকের মধ্যে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে উত্তরা ব্যাংকের। নতুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির প্রকৃত অর্থাৎ নিট মুনাফা ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়। ব্যাংকটি ইপিএস দেখিয়েছে ৯৪ পয়সা। দি সিটি ব্যাংক মুনাফা দেখিয়েছে সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা আর ইপিএস দেখিয়েছে ৭৯ পয়সা। যমুনা ব্যাংক মুনাফা দেখিয়েছে সাড়ে ৫৫ কোটি টাকা আর ইপিএস দেখিয়েছে ৬৪ পয়সা। একইভাবে আইএফআইসি ব্যাংকের ইপিএস দেখিয়েছে ৭৪ পয়সা। ইস্টার্ন ব্যাংকের ইপিএস ৬৯ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ১৭ পয়সায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইপিএস ৫০ শতাংশ বেড়ে ১২ পয়সায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ইপিএসও ৫০ শতাংশ বেড়ে ৬০ পয়সায় দেখিয়েছে। মুনাফায় থাকা শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস ৩৭ পয়সা থেকে ৫৫ পয়সা, প্রিমিয়ারের ইপিএস ৩৯ পয়সা থেকে ৫৭ পয়সা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ইপিএস ১১ পয়সা থেকে ১৬ পয়সা, ইউনাইটেড কমার্শিয়ালের ইপিএস ৩১ পয়সা থেকে ৪৪ পয়সা, পূবালী ব্যাংকের ৭০ পয়সা থেকে ৮৪ পয়সা, প্রাইমের ইপিএস ৩১ পয়সা থেকে ৩৭ পয়সা, ব্যাংক এশিয়ার ৫৩ পয়সা থেকে ৬২ পয়সা, আল-আরাফার ইপিএস ৩৯ পয়সা থেকে ৪৫ পয়সা, রূপালীর ইপিএস ২২ পয়সা থেকে ২৫ পয়সা, মিউচুয়াল ট্রাস্টের ইপিএস ৬৫ পয়সা থেকে ৭৩ পয়সা, ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস ৩৬ পয়সা থেকে ৪০ পয়সা, এনসিসির ইপিএস ৩৯ পয়সা থেকে ৪৩ পয়সা এবং ঢাকা ব্যাংকের ইপিএস ৪৯ পয়সা থেকে ৫৩ পয়সা দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে এবি ব্যাংকের ইপিএস সাড়ে ৩৭ শতাংশ কমে ১৬ পয়সা থেকে ১০ পয়সা দেখিয়েছে। এ ছাড়া ডাচ্‌-বাংলার ইপিএস ৩ টাকা ১৯ পয়সা থেকে ২ টাকা ৩৭ পয়সায়, মার্কেন্টাইলের ইপিএস ৮১ পয়সা থেকে ৬৩ পয়সায়, সাউথইস্টের ইপিএস ৫৯ পয়সা থেকে ৪৭ পয়সায়, ট্রাস্টের ইপিএস ৮৩ পয়সা থেকে ৭৬ পয়সা, ব্র্যাকের ইপিএস ১ টাকা ২৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ২২ পয়সায় এবং স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস ৩৩ পয়সা থেকে কমিয়ে ৩২ পয়সা দেখানো হয়েছে।