সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বাণিজ্য বন্ধ যাযাদি রিপোর্ট সাপ্তাহিক ছুটি ও বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে টানা দুই দিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরে মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। স্থলবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার (১৮ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটিতে শ্রমিকরা কাজ না করায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আছে। শুক্রবার (১৭ মে) সাপ্তাহিক ছুটিতেও আমদানি রপ্তানি হয়নি। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে এপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, বর্তমানে এ পথে সপ্তাহে ছয় দিন বাণিজ্য চলছে। বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি। তবে তারা কোনো পণ্য আমদানি রফতানি না করায় বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। রোববার (১৯ মে) সকাল থেকে পুনরায় বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে। এদিকে শুক্রবার ও শনিবার টানা দুইদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই দেশের বন্দরে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরমে পচনশীল পণ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শেয়ার বেচবেন প্রভাতি ইন্সু্যরেন্সের পরিচালক যাযাদি রিপোর্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রভাতি ইন্সু্যরেন্সের পরিচালক মারুফ সাত্তার আলী পাবালিক মার্কেটে শেয়ার বেচার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এই পরিচালক ৫০ হাজার শেয়ার বেচবেন। তার কাছে মোট ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৯টি শেয়ার রয়েছে। এই পরিচালক আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজার দরে উলিস্নখিত পরিমাণ শেয়ার বেচতে পারবেন। ৫ কোম্পানির লেনদেন চালু রোববার যাযাদি রিপোর্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন রেকর্ড ডেটের পর আগামী রোববার ১৯ মে চালু হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিএনআইসিএল, ইস্টল্যান্ড ইন্সু্যরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্স, প্রগতি ইন্সু্যরেন্স ও তাকাফুল ইন্সু্যরেন্স। জানা গেছে, রেকর্ড ডেটের কারণে বৃহস্পতিবার কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে। উলেস্নখ্য, এর আগে কোম্পানিগুলো স্পট মার্কেটে শেয়ার লেনদেন করেছে। ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে সিটি ব্যাংক যাযাদি রিপোর্ট জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকের চলমান ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনসাপেক্ষে বন্ড ইসু্য করা হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আগামী ২৬ জুন ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১২ মে। সমাপ্ত হিসাব বছরে সিটি ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সিটি ব্যাংকের সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ পয়সা। ৩১ মার্চ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ২০ পয়সা। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৯ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় সিটি ব্যাংক। সে বছর ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ২৪ ও ২০১৫ হিসাব বছরে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার সিটি ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়সা বা ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। দিনভর দর ২৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর যথাক্রমে ২২ টাকা ৫০ পয়সা ও ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা। ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন দেড় হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৩২, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৬৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।