মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সীমা বাড়ল

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সীমা বেড়েছে, এখন দিনে আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি টাকা উত্তোলন করা যাবে। আর অ্যাকাউন্টে দিনে জমা বা ক্যাশ ইন-এর পরিমাণও দ্বিগুণ করা হয়েছে। এখন থেকে দৈনিক পাঁচবার ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ-ইন এবং দৈনিক পাঁচবার ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন গ্রাহকরা। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে মোবাইল ব?্যাংকিংয়ে লেনদেনের এই নতুন সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এটি দেশে কার্যরত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী সব ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন একজন গ্রাহক তার অ?্যাকাউন্টে দিনে পাঁচবার ৩০ হাজার টাকা ক?্যাশ ইন বা জমা করতে পারবেন। তবে আগের মতোই মাসে ২০ বার সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ক?্যাশ ইন করা যাবে। এতদিন দিনে দুইবার সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পারতেন একজন গ্রাহক। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, একইসঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচবার ২৫ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যাবে। মাসে ২০ বার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা যাবে। এতদিন দিনে দুইবার সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা তোলা বা ক্যাশ আউট করা যেত। মাসে ১০ বার ৫০ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যেত না। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) একটি ক্রম বিকাশমান সেবা, যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। দেশের দ্রম্নত বর্ধনশীল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই সেবা বর্তমানে নতুন খাত সম্প্রসারণে যেমন, ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আগত রেমিট্যান্স বিতরণ, ই-কমার্স, ক্ষুদ্র ব্যবসা, বেতন বিতরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পেমেন্ট ইকো সিস্টেমের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এমএফএস-এর সুশৃঙ্খল ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে এমএফএসের ব্যক্তি হিসাবের মাধ্যমে লেনদেনের সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হলো। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে (পি টু পি) টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এখন প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ৭৫ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে। এই প্রক্রিয়ায় এতদিন দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার এবং মাসে ২৫ হাজার টাকা স্থানান্তর করা যেত। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে আট কোটির মতো। এর মধ্যে শুধু বিকাশেরই রয়েছে তিন কোটি ১০ লাখ অ্যাকাউন্ট।