বিড়িশিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না

যাযাদি রিপোর্ট রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, 'বিড়িশিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। রংপুরের লাখ লাখ চাষী, ব্যবসায়ী জড়িত। হঠাৎ করে এ শিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। বিড়িশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আমি একত্মতা ঘোষণা করছি।' শনিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিড়িশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্‌বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের রুটি-রুজি এই বিড়িশিল্প। যেকোনো মূল্যে এই শিল্পকে রক্ষা করা হবে। এ শিল্পের মালিকদের প্রতি আহ্‌বান জানাচ্ছি, শ্রমিক ভাই-বোনদের মজুরি বাড়ানোর জন্য।' বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি আলহাজ আবদুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামিম ইসলাম, শ্রমিক নেতা আমিরুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, জামিল আখতার, আফজাল হোসেন, গোলাপ হোসেন, হামিদার রহমান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সমাবেশে হাজার হাজার বিড়িশ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিড়িকে কুটিরশিল্প ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি তোলেন বক্তারা। দাবিগুলো হলো- বিড়ির ওপর অর্পিত সকল কর প্রত্যাহার করা, ভারতের ন্যায় এ শিল্পকে কুটিরশিল্প ঘোষণা করা, বিদেশি সিগারেট বাংলাদেশে বন্ধ করা, বিড়িশিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা বন্ধ করা ও বিড়ি যেন কম মূল্যে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা বজায় রাখা। সমাবেশে বলা হয়, বাংলাদেশে সিগারেট যতদিন থাকবে, বিড়িশিল্প তত দিন থাকবে ও প্রতি বছর বাজেটে বিড়ি-সিগারেটের কর বৈষম্য দূর করতে হবে।