এক্সপোজারে ছাড়, শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক্সপোজার সংশোধনীর প্রজ্ঞাপন জারির পর দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে একশ' পয়েন্টের ওপর। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে প্রায় দুইশ' পয়েন্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের এক্সপোজারে সংশোধনী এনে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত এবং পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তালিকাভুক্ত নয় এ রূপ সিকিউরিটিজে ব্যাংকের বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনের ফলে এখন থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের (একক ও সমন্বিত) বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে নন-লিস্টেড কোম্পানির অর্থাৎ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের ইকু্যইটি শেয়ার, নন-কনভার্টেবল প্রিফারেন্স শেয়ার, নন-কনভার্টেবল বন্ড, ডিবেঞ্চার, ওপেন-ইন্ড মিউচু্যয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ (ক্যাপিট্যাল মার্কেট এক্সপোজার) হিসেবে গণ্য করা হবে না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির পর রোববারই ছিল প্রথম কার্যদিবস। এদিন লেনদেন শুরুতেই মূল্যসূচকের বড় উত্থানের আভাস দিতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের টানা ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকায় শেষ পর্যন্ত বড় উত্থান হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্যসূচকে এ উত্থানের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার পাঁচগুণের বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে আইএফআইসি ব্যাংক এবং ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এক্সিম ব্যাংক। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- এসকে ট্রিমস, উত্তরা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পাওয়ার গ্রিড, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ১৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। লেনদেন অংশ নেয়া ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৯টির, কমেছে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আইসিটি খাতে ব্যাংকের ঋণে অনীহা যাযাদি রিপোর্ট আইসিটি খাতে কেউ ঋণ দিতে চায় না উলেস্নখ করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই অর্থ দাবি করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। চুক্তি অনুযায়ী বেসিসকে সহজ সর্তে ঋণ দেবে আইপিডিসি। বেসিস সভাপতি বলেন, 'আইসিটি খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অর্থের। আমাদেরকে কেউ ঋণ দিতে চায় না, এ ক্ষেত্রে আইপিডিসি এগিয়ে এসেছে, তাদেরকে ধন্যবাদ।' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকার কখনও সফটওয়্যার তৈরি করতে যাবে না। তাই এটা আপনাদের জন্য ভালো করার একটা বড় সুযোগ। সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদেরকে বলবেন, বুঝি আর না-বুঝি, অন্তত পক্ষে সহায়তা করার চেষ্টা করব। এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, সফটওয়্যার তৈরিতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিদেশি কোনো কোম্পানি থেকে আমরা সফটওয়্যার নিতে চাই না। অনুষ্ঠানে আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মমিনুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।