বিড়ির ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে যতদিন সিগারেট থাকবে ততদিন বিড়ি রাখার দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের ভোক্তা পক্ষ। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংসবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। ভোক্তা পক্ষের দাবি, ভারতের ন্যায় বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা দিয়ে বিড়ির ওপর সকল কর প্রত্যাহার করতে হবে। কোন সরকারি আমলা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ডাইরেক্টর পদে থাকতে পারবে না। এছাড়া সিগারেটের ন্যায় বিড়িকেও ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন ভোক্তারা। ভোক্তা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মো. খালেদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাগর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, সদস্য হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অর্ধসহস্রাধিক বিড়ি ভোক্তা উপস্থিত ছিলেন। বিড়ি ভোক্তা পক্ষের প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করে সকল কর মুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানির দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্র করে বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। এদেশের কিছু মীরজাফর তাদের সহযোগিতার করে দেশীয় শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অতীতে দেশ মুক্তির সকল আন্দোলনে বিড়ি শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেছিল। বর্তমানে বিড়ি শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। দেশে সিগারেট যতদিন থাকবে ততদিন বিড়িও থাকবে। এছাড়া বন্ধ বিড়ি কারখানাগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি। ভোক্তা পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, 'পাকিস্তান আমল থেকে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কিন্তু বাঙালি কোন বৈষম্য সহ্য করে না। বিড়ির ওপর কোন বৈষম্য সহ্য করা হবে না।' ভোক্তা পক্ষের সাধারণ সম্পদক মো. মোস্তফা বলেন, 'ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানি ষড়যন্ত্র করে বেশি টাকায় আমাদের সিগারেট ধূমপান করতে বাধ্য করছে। আমরা কখনো ব্রিটিশদের এ ষড়যন্ত্র পূর্ণ হতে দেব না।'