সরকার কৃষকের পাশে থাকায় খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে :কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। সরকার কৃষকের পাশে আছে বলে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। সোমবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকিকরণ ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি। ধানের দামের বিষয় উলেস্নখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রম্নতই এর সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সব সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উলেস্নখ রয়েছে, তা সব বাস্তবায়ন করা হবে। কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা। এই প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকারি গাড়ি প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ৮৮টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। উলেস্নখ্য, ২০১৮-২০২২ মেয়াদি প্রকল্পটি ৩১৫ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষকসেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।