বিক্রির চাপে পতনে শেয়ারবাজার

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর রোববার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে প্রধান মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। মূলত শেষদিকে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ানোর কারণে এই দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার তালিকা বড় হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতে মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে অব্যাহত দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে গত সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের এক ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর হঠাৎ করেই এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিনে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে প্রধান মূল্য সূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।