সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আগ্রহ হারানোর শীর্ষে রূপালী লাইফ যাযাদি রিপোর্ট গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করে জীবন বীমা খাতের কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই এর দাম কমেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দামে বড় ধরনের পতন হয়। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয় ২ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৮০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৮৯ টাকা। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ৬৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৪ শতাংশ শেয়ার। রূপালী লাইফের পরেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- ন্যাশনাল ফিডের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যরেন্সের ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ডেফডিল কম্পিউটারের ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচু্যয়াল ফান্ডের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ দাম কমেছে। চাহিদার শীর্ষে গেস্নাবাল ইন্সু্যরেন্স যাযাদি রিপোর্ট গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে চাহিদার শীর্ষে ছিল সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানি গেস্নাবাল ইন্সু্যরেন্স। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। শেয়ার মূল্য বড় ধরনের উত্থানের কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৪২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা। গেস্নাবাল ইন্সু্যরেন্সের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল 'জেড' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েল। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ইস্টার্ন কেবলস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- সিটি জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জনতা ইন্সু্যরেন্সের ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ, জেড গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠান ইমাম বাটনের ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ইসলামী ইন্সু্যরেন্সের ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং পূরবী জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন যাযাদি রিপোর্ট বেশ কিছু দিন কমলেও চলতি মাসের শুরু থেকে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় খাতটি গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে ব্যাংকিং খাতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ সময় মোট লেনদেনে ব্যাংকিং খাতের দখলে ছিল ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ওই সময় মোট লেনদেনের ব্যাংকিং খাতের অংশগ্রহণ ছিল ২০ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ওই সময় লেনদেনে ব্যাংকিং খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১০ শতাংশ। এভাবে ধীরে ধীরে বাড়ছে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ দখলে ছিল প্রকৌশল খাতের। খাতটির দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এরপরেই বিমা খাতের অবস্থান। খাতটির লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল ১০ শতাংশ। গেল সপ্তাহে বিমা খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল, জ্বালানি খাত প্রত্যেকের ৮ শতাংশ করে, বস্ত্র এবং বিবিধ প্রত্যেকের ৭ শতাংশ করে, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ৫ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩ শতাংশ, সিরামিক এবং আইটি খাত প্রত্যেকের ২ শতাংশ করে, সিমেন্ট খাতের ১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।