এনবিআরে ছয় দফা দাবিতে বিড়িশ্রমিকদের মানববন্ধন

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কুটির শিল্প ঘোষণা ও ভারতের ন্যায় প্রতি হাজার বিড়িতে ১৪ টাকা করারোপসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার সকাল ৯টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধনে সারাদেশ থেকে হাজারেরও বেশি বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী বলেন, দেশে ধূমপান থাকলে বিড়ি থাকবে। সিগারেটকে রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হলে ২০ লক্ষাধিক বিড়ি শ্রমিক নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বিড়ির ওপর কর কমানোর জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তিনি। মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার। এ কারণে এই শিল্পের শ্রমিক, কারখানা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। অসহায় হয়ে পড়ছে লাখ লাখ শ্রমিক। বিশেষ করে নদীভাঙন এলাকা, মঙ্গা অধিভুক্ত এলাকা যেখানে বেলে মাটিতে তামাক ছাড়া অন্য ফসল হয় না সেখানকার চাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা নিদারুণ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। অথচ পাশের দেশ ভারত বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার জন্য কুটির শিল্প ঘোষণা দিয়েছে। মানববন্ধনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি। দাবিসমূহ হলো, ১. ভারতের মতো বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে ২. চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানকে সহজ করার জন্য বিড়িকে করমুক্ত ঘোষণা করতে হবে ৩. বিড়ি শ্রমিক সুরক্ষার আইন তৈরি করতে হবে ৪. নিম্ন ও মধ্যমস্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্যে করতে হবে ৫. উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য অধিকহারে বৃদ্ধি করতে হবে ৬. বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে।