শেষ হলো ওয়ালটন আয়োজিত এটিএস এক্সপো
প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ব্যাপক সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ওয়ালটন আয়োজিত একক বৃহৎ শিল্পমেলা 'অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলু্যশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪'। গতবারের মতো এবারও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ওয়ালটনের এই শিল্পমেলা। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পেয়েছে ওয়ালটন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি হল-৩ এ আয়োজিত 'এটিএস এক্সপো-২০২৪' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এ তথ্য জানায়। এটিএস এক্সপো'র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বিএসটিআই'র মহাপরিচালক এসএম ফেরদৌস আলম, প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান। সমাপনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি'র চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী, ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মীমসহ ওয়ালটনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। এটিএস এক্সপো'র সমাপনী দিনে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। এ সময় তিনি ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্যানোরামা সিরিজের বিগ-ডিসপেস্ন'র এয়ার কন্ডিশনার এসি উদ্বোধন করেন। পরিদর্শনকালে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসামগ্রীসহ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলু্যশন, ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস দেখে অভিভূত হন। এসব পণ্যসামগ্রী দেশীয় অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরতে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ আগামীতেও এ ধরনের মেলা আয়োজন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটিএস এক্সপোতে দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম মাহবুবুল আলম বলেন, বিদু্যৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এ জন্য পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন এবং ম্যানুফ্যাকচারারদের বিপুল বিনিয়োগেয়র সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান জরুরি। ইউরোপ, আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোও স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় নীতি ও কর সহায়তা দিয়ে থাকেন। বর্তমান সরকারও দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি